হারির টাকা দিতে দেরি হওয়ায় কৃষকের দেড়বিঘা জমির ফসল নষ্ট করলো মালিক
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হারির টাকা দিতে দেরি হওয়ায় কৃষকের দেড়বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে দিলো জমির মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে-শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেষা সোনাই নদীর ধারে চান্দা গ্রামের মাঠে।
শনিবার দুপুরে মাদরা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলাউদ্দীন জানান-তিনি চান্দা গ্রামের মাঠে ৫বছর ধরে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে জমি লিছ নিয়ে কুল, আম, ঢেড়স, বরবটি, ঝাল, ওল সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে আসছেন। ওই মাঠের মধ্যে দেড়বিঘা জমি তিনি ভাদিয়ালী গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে ইয়ারুল ইসলামের কাছ থেকে ৮বছরের জন্য লিছ নিয়েছে। তিনি প্রতি বছর যেতে না যেতেই ২১ হাজার টাকার হারি দিয়ে আসছেন। ইতি মধ্যে তিনি জমির মালিক ইয়ারুল ইসলামকে ১০হাজার টাকা দিয়েছেন। এখনো বছর শেষ হয়নি। আগামী ১ তারিখে আরো ১১হাজার টাকা দিবেন বলে জানান। কিন্তু এসময় জমির মালিক ইয়ারুল ইসলাম বলেন-আগাম বছরের টাকা তার কাছে জমা রাখতে হবে। আর তা না হলে তিনি জমি লিছ দিবেন না বলে ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান। পরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি তার ছেলেকে নিয়ে ওই ফসলি ক্ষেতের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ঘাষমারা বিষ ছিটিয়ে কুল, ঢেড়স, বরবটি, ঝাল ওল নষ্ট করে দেন। এসময় তিনি কুল গাছের ডাল কেটে এবং ভেঙ্গে নষ্ট করেন। খবর পেয়ে ওই কৃষকের ছোট ভাই জমিতে গিয়ে বাধা দিলে তারা তাকে কাচি নিয়ে ধাওয়া করে মারধোর করার চেষ্টা করে। পরে সে ওইখান থেকে কৌশালে দৌড়ে পালিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করে।
ওই দিন বিকালে কৃষক আলাউদ্দীন বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান হাসান, কামরুজ্জামান কামুকে জানান। কৃষক আলাউদ্দীন আরো জানান-ঘাষ মারা বিষ ছিটানোর কারনে তার প্রায় ৭০/৮০ হাজার টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। তিনি এঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবী করেন। এদিকে রোববার বিকালে অভিযুক্ত ইয়ারুল ইসলামের সেলফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন-বিষয়টি তিনি স্থায়ী ভাবে মিমাংসা করে দেবেন।