সীমিত পরিসরে খুলছে পোশাক কারখানা
পোশাক কারখানা সীমিত পরিসরে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। শনিবার বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় জানানো হয়েছে, অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য সামগ্রিক বিবেচনায় বিজিএমইএ আপনাকে জোনভিত্তিক, সীমিত পরিসরে কারখানা খোলার পরামর্শ দেবে সরাসরি। তবে এর আগে শ্রমিকদের ঢাকায় না আনার জন্যও সদস্যগণকে পরামর্শ দেয়া হলো।
বার্তায় বিজিএমইএ সদস্যদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সেইসব কর্মীদের নিয়ে কারখানা চালু করুন, যারা কারখানার নিকটবর্তী স্থানে বসবাস করেন।
সেইসঙ্গে মানবিক কারণে শ্রমিকদের ছাঁটাই না করার জন্য সদস্যদের অনুরোধ করা হয়েছে।
অনুপস্থিত শ্রমিককে এপ্রিল মাসের বেতন পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ওই বার্তায়। এতে বলা হয়, ‘পরামর্শ অনুযায়ী কারখানা খোলার তারিখ ও প্রটোকল দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিপালন করার অনুরোধ করছি।’
সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিজিএমইর নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে ওই বার্তায় বলা হয়, যে কোনো পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা কারও সমর্থন ছাড়াই নিয়মবহির্ভূতভাবে ঢাকায় চলে এলে সংগঠন থেকে সদস্যদের সহযোগিতা দেয়া সম্ভব হবে না।
এর আগে গতকাল বিজিএমইএর এক নির্দেশনায় জানানো হয়, অর্থনীতিকে চলমান রাখতে সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার নির্দেশনা দেবে বিজিএমইএ। সেই নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত যেসব শ্রমিক গ্রামে আছে, তাদের ঢাকায় আসতে না বলার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সরকারি আদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আরো ১০ দিন বাড়ানো হয়। বিভিন্ন নির্দেশনা পালন সাপেক্ষে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
জানা গেছে, সাধারণ ছুটির সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামে চলে যাওয়া শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে মালিকরা যেন বাধ্য না করে সেজন্য বিজিএমইএ এই নির্দেশনা দিয়েছে।