দেশে একদিনে ৭ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪১৪
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১২৭ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া নতুন করে আরো ৪১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সারাদেশে মোট ৪১৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপনা করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৪১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৬ জন করনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে মোট ১০৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,দেশ করোনা প্রাদুর্ভাব ছড়ার ৪৫ দিনে ইউরোপ ও আমেরিকার তুলনায় আক্রান্ত ও প্রাণহানি অনেক কম। চলমান সংকট মোকাবিলায় দুই হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দিবে সরকার।
ভিআইপদের জন্য আলাদা হাসপাতালের খবর সঠিক নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সবার সমন চিকিৎসা। কারো জন্য আলাদা চিকিৎসা নয়। সরকার এরকম কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত তুলে ধরে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১টি প্রতিষ্ঠানে তিন হাজার ৯২১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে তিন হাজার ৪১৬টি নমুনা। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৯০টি।
তিনি বলেন, গতমাসের এই দিনে অর্থাৎ গত ২৩ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ৬ জন, সেখান থেকে বেড়ে আজ ২৩ এপ্রিল আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৪১৬ জন। এই আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫.২৬ শতাংশই ঢাকা বিভাগের এবং ঢাকা শহেরর মধ্যে ৪৫.৫১ শতাংশ। এর পরে আছে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলা। এদের মধ্যে পুরুষ ৬৮ এবং মহিলা ৩২ শতাংশ।
বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে, সরকারি-বেসরকারি সূত্রের বরাতে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ডোমিটার ডটকম। তাদের হিসাবে বিশ্বে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৬ জন। প্রাণহানির সংখ্যা এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৩।
আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন ৭ লাখ ২৩ হাজার ৭১৩ জন। এখনো ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৩৮০ জন সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।