কলারোয়ায়ে এক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগ
সাতক্ষীরা কলারোয়া চন্দনপুর ইউনিয়নের বয়েরডাঙ্গা গ্রামে প্রতিবন্ধী কন্যাকে ফোনে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে।ভুক্তভোগীর পিতা সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনিকে জানানো হয়েছে। আমার এই প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাব মানসম্মানের ভয়ে শুধু মাত্র চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি তিনি সামাজিক ভাবে বিচার সালিশ করে সমাধান করে দিতে চেয়েছেন। তিনি আর ও বলেন কেবা কারা এই ধর্ষণ করেছে তা জানতে পারেনি তবে যে মোবাইল দিয়ে ফোনে করে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে ছিল সেই নাম্বারটি বাজারে দোকান আছে। মেয়েটির সাথে পরিচয় গোপন রেখে এ ধরনের জঘণ্য কাজ করেছে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত শওকত আলীর পুত্র সজীবের দোকানে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির দেওয়া মোবাইলে নাম্বারটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে।
ভুক্তভোগী কন্যা বলেন নাহিদ(সজিব) নামের ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হওয়ায় তাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় এবং দুই থেকে তিন জন ছেলে তাকে জোরপূর্বক টেপ দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধস্তাধস্তি একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার করলে চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার তাকে উদ্ধার করে। ভিকটিমের শিকার মেয়েটির কাছে বাকি দুজনের নাম জিজ্ঞাসা চাইলে সে বলেন গয়ড়া বাজারে দোকানদার লাল ফিতে দেওয়া গয়ড়া বাজারের নাহিদ(সজিব) আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
চন্দনপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইমাম হোসেন জানান, আমি এই বিষয়টি শুনেছি ঘটনা সত্য। যারা এই ধর্ষণকারী তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে জানান বিষয়টি তিনি জানেন নারীঘটিত কাজে তিনি মাথা দিতে চান না বিষয়টি কলারোয়া থানা ওসিকে জানানো হয়েছে।
কলারোয়া থানার ওসি মুনীর উল গীয়াস মুঠোফোনে জানান এই সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। থানায় মামলা হলেই ব্যবস্থা নেবেন।