লুট চুরি ভাংচুর ও মহিলাদের মারপিটের প্রতিকারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার পর মামলা দায়ের হলেও এলাকায় লুটপাট, চুরি, ঘর বাড়ি ভাংচুর ও মহিলাদের উপর হামলার প্রতিকার আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার সকালে গদাইপুর গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গদাইপুর গ্রামের জুলির স্ত্রী স্বপ্না, জাারুলের স্ত্রী তন্বী, সামাদের স্ত্রী বেবী, ইউসুফের স্ত্রী শনিফা, হুমায়ুনের স্ত্রী নিলুফা, হাবিলের স্ত্রী মরিয়ম, বাচ্চুর স্ত্রী মাসুমা খাতুন লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১০ এপ্রিল সংঘর্ষের ঘটনার সময় ও পরে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাহনেওয়াজ ডালিমসহ গ্রামের অনেকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট, রক্তাক্ত জখম করে। নিহত সরবত মোল্যার ছেলে সবুজ মোল্যা বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিমকে প্রধান আসামী করে ৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর থেকে অহিদুল মোল্যা ও কুদ্দুছ মোল্যার সহযোগিতা ও নেতৃত্বে শিমুল, নরিম, জামান, হাফিজুল, মফিজুল, হাসান, সবুজ, রসুল, মফিজুল-২, মজিদ, খায়ের, মেম্বার আনারুল, আজহারুল, মজু, শাহিনুর, শামিরুল, শাহিনুর-২, মোমিন, কালাম, জামিনদার, শিমুল-২, নাজমুলসহ তাদের সঙ্গীরা প্রতিরাতে মামলার আসামীরা পালাতক থাকায় তাদের বাড়ি, ঘেরে, দোকানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মহিলাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে। লম্বা খোকনের ১২টি গরু, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল শেখের একটি মোটরসাইকেল ও ৩টি গরু চুরি, মনো গফ্ফার মোল্যা, বাচ্চু, ছোটনুনু, জামারুল, সিরাজুল, মোহাম্মদ পুলিশ, নুর ইসলাম, মোস্তাকিম, আনারুল মোল্যা, মহিদুল্লাহ, সাইফাল, কামরুল, জামসের, শেখ কামরুল, তুহিন, শফিকুল সরদার, আব্দুল সালাম, ওয়েজ কুরুনী, সিরাজুল ইসলাম, সেলিম ও রাব্বির বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, দোকান ভাংচুর লুটপাট,গরু-ছাগল-হাঁসমুরগি লুটপাট/চুরি, মৎস্যঘের লুটপাট ও নগদ টাকা লুটপাট করে চলেছে। এ পর্যন্ত ২০টি গরু, ৮০ বস্তা ধান, ৩টি মটর সাইকেল, বহু হাঁসমুরগি-ছাগল, স্বর্ণালঙ্কার, অন্যান্য মূল্যবান মালামাল, মাছের ঘেরের মাছ লুটপাট করা হয়েছে। তারা আরো জানান, উপরোক্ত হামলা, লুটপাটকারীরা প্রতিদিন তুয়ারডাঙ্গা মৎস্য সেটে বসে ষড়যন্ত্র বৈঠক করে এবং সন্ধ্যায় কলেজের পিছনে ফাকা স্থানে অবস্থান করে। রাতে আঁধারে তারা মাছের ঘেরে লুটপাট, ঘুনি দিয়ে ভোরে মাছ ঝেড়ে নেয়। এছাড়া পুরুষ শূন্য বাাড়িতে গিয়ে ভাংচুর, মহিলাদের মারপিট করে লুটপাট করে থাকে। ভয়ে সন্ত্রস্ত মহিলারা বাড়ি ছড়ে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের সাথে তুয়ারডাঙ্গা ও কাপসন্ডা গ্রামের লাঠিয়াল ও স্বশস্ত্র বাহিনী থাকে। তারা চেয়ারম্যান ডালিমের বাড়ি ঘরের সবকিছু ভাংচুর, ৫টি মটর সাইকেল ও ্রপাইভেট ভাংচুর ও মূল্যবান মালামাল লুটপাট করেও ক্ষান্ত হয়নি বরং তার মৎস্য ঘের লুটপাটের ষড়যন্ত্র করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, চেয়ারম্যান ডালিমের ভাই ওবায়দুল্লাহ ডাবলু বাদি হয়ে টগরকে মারপিট, গাড়িবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দস ও অহিদসহ ২৫ ও ৩৬ জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা এবং মুক্তিযোদ্ধা নুরুল শেখের স্ত্রী জামিলা খাতুন বাদি হয়ে ২০ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির মোল্ল্যার পুত্রবধু মিনারা বেগম ও মটরসাইকেল চালক সেলিম সরদারের মা বেবি খাতুন, তাদের বাড়ি ভাংচুর, লুট ও প্রকাশ্যে মটর সাইকেল ছিনতাইকারী শিমুল, সবুজ ও আনারুলদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও এখনো মামরা রেকর্ড হয়নি বলে জানা। এখনো কোন মালামাল উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে রাত এলে চরম আতংকে হচ্ছে তাদের। তারা আসামীদের গ্রেফতার, লুটপাট, বাড়িতে হামলা ও মহিলাদের উপর নির্যাতন বন্ধ ও তারা নিশ্চিন্তে বাড়িতে থাকতে পারেন সেব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।