ভিক্ষুকের থেকে ধান্দাবাজি করে টাকা নিলেন নলতা ইউপি সদস্য
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনিয়ম ও দূর্ণীতির খবর ভাইরাল হওয়ায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ৮ নং সদস্য মোঃ শহিদুল আলম এর বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নলতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য শহীদুল আলম পাইকাড়া গ্রামের পাঁচু পাড়ের ছেলে মুনছুর আলীর কাছ থেকে সরকারী ঘর দেওয়ার জন্য ৬ হাজার টাকা, কালু গাজীর স্ত্রী জয়গুন বিবির বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য ২ হাজার ২শত টাকা, এক ভিক্ষুকের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার জন্য ২ হাজার টাকা নিয়ে পরে ৭০০ টাকা ফেরত দেওয়া এবং এক ব্যক্তির কাছ থেকে শিশু কার্ড পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১ হাজার ২শত টাকা নিয়েছেন। কিন্তু ভুক্তভোগীরা ঘর, কার্ড বা কোন সাহায্য পাননি। এমন অভিযোগের একাধিক ভিডিও গত ১৯ এপ্রিল রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বিষয়টি নজরে এলে সোমবার কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিনকে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সেবার পরিবর্তে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন,২০০৯ এর ৩৪ (৪) (খ) এবং (ঘ) ধারা মোতাবেক উপযুক্ত বিষয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ নিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শহীদুল আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন। জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, তিনি যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন।