‘করোনা দুর্যোগে প্রতিহিংসা নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন : এসএম মোস্তফা কামাল

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ত্রাণ বিতরণ ও সহায়তা প্রদানে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। সোমবার  দুপুরে কলারোয়ায় করোনার প্রাদুর্ভাবে ত্রাণ, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন- ‘যারা বাইরের জেলা থেকে এসেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে প্রয়োজনে পাহারার ব্যবস্থা করে ঘরে রাখা নিশ্চিত করতে হবে। গত ১মার্চ থেকে ২৮মার্চ পর্যন্ত বিদেশ থেকে ১১হাজার ও সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ১০হাজারের বেশি লোক সাতক্ষীরায় এসেছে।ঢাকা-নারায়নগঞ্জসহ আক্রান্ত জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের মাধ্যমেই দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনার সংক্রমণ হচ্ছে, সুতরাং আমাদের সকলের ওয়াদা করতে হবে যেভাবেই হোক বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের ঘরে রাখবো’ সাধারণ মানুষের পাশে সরকারি সহায়তার বিষয়ে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন- কলারোয়া উপজেলায় ৯৯ মে.টন চাল, ৪লাখ ৩০হাজার টাকা, ৪০হাজার টাকার শিশু খাদ্য বরাদ্দ এসেছে। আরো আসবে। উপজেলা প্রশাসনের নিজস্ব রাজস্ব ফান্ড থেকে ১০লাখ টাকা পর্যন্ত মানুষের সেবায় খরচ করা যাবে। এ ফান্ড থেকে হাসপাতালে পিপিই সামগ্রি দিতে পারেন। খাদ্যবাবন্ধসহ বিভিন্ন বরাদ্দ থাকবে। তবে বরাদ্দ কীভাবে কাজে লাগাচ্ছেন ও ত্রাণ সহায়তা বিতরণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মোস্তফা কামাল বলেন-‘সমন্বয় করে সঠিক তালিকা প্রনয়নের মাধ্যমে দল-মত নির্বিশেষে নিন্ম আয়ের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ওয়ার্ড ভিত্তিক বিভাজন করে সহায়তা প্রদান করতে হবে। সম্প্রসারিত তালিকা প্রনয়ণে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকদেরও সেই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। ট্যাগ অফিসারদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এগুলো বিতরণ করবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন- ‘কোন অভিযোগ বরদাশত করা হবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে আর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উদ্বুধ পরিস্থিতিতে কোন বিভ্রান্তি, উস্কানি, ভুয়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত গুজব রটালে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা মনে করে দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন- ‘সবাই মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। এই পরিস্থিতি কতদিন থাকবে জানি না। দুর্যোগের এই মুহুর্তে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা- প্রতিযোগিতা- প্রতিহিংসা করবেন না, সাতক্ষীরা জেলাকে কলঙ্কিত করবেন না। কেউ যদি চুরি করেন তিনি এককভাবে চোর, অন্য জনপ্রতিনিধিরা তার দায় নেবে না।  মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু,  উপজেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  মোঃ আক্তার হোসেন,
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ্ব  শেখ মুনীর-উল-গীয়াস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রহমান,  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এন্ড এফপিও) ডাক্তার জিয়াউর রহমান, কলারোয়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা ও

শাহানাজ নাজনীন খুকু, যুগিখালী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মফে,  কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসীন আলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহানসহ সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)