ব্যাংকগুলোকে মাসিক কিস্তির বা লোনের টাকা কর্তনের অভিযোগ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ব্যাংকগুলোকে মাসিক কিস্তির বা লোনের টাকা কর্তনের অভিযোগ করেছে শিক্ষক -কর্মচারী। গত সোমবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলাধীন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার কর্মরর্ত কয়েকজন শিক্ষক- কর্মচারী এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের খুবই কষ্টের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে! নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য সামগ্রিক দামও বেড়ে গেছে ! আমাদের বাহ্যিক সকল ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে! এ মুহূর্তে আমাদের ব্যাংকগুলোকে লোনের মাসিক কিস্তি না কাটার অনুরোধ করেন।
তারা বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও সরকারের নির্দেেশনা অনুযায়ী এনজিও বা সমবায় সমিতিগুলো দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তি বা লোনের টাকা আদায়ের বন্ধ রাখলেও সোনালী, জনতা ব্যাংক ,অগ্রণী ব্যাংক.ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক,ইসলামী ব্যাংক ও রুপালীব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকগুলো শিক্ষক-কর্মচারীর কিস্তি বা লোনের টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার,জানান, লোন বা কিস্তির টাকা কর্তন না করার সরকারি নির্দেশনা গতকাল ১৫ এপ্রিল আমরা জানতে পারি। কিন্তু প্রাইমারী স্কুলের বেতন হয়ে যায় এ মাসের দুই বা তিন তারিখ। তখন কোন নির্দেশনা না থাকায় আমরা বেতনের টাকার জমার সাথে লোন বা কিস্তির টাকাও কেটে রাখি।
সোনালী ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা ও একই কথা বলেন,তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের মাসিক বেতন না হলে! তাহলে বেতন কর্তন করতাম না। কেটে রাখা টাকাগুলো কি? এখন তাদের একাউন্টে ফেরত দিয়া হবে, তখন বলেন, দেওয়া হবে না। তবে কারো কোন সমস্যার হলে তাহলে বিবেচনা করা হবে।