১২ হাজার ডাক্তারের সেমিনারে বক্তা টেন্ডুলকার
করোনা মহামারীর মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের দেখা যাচ্ছে নানা ভূমিকায়। এবার ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার অভিনব এক উদ্যোগে শামিল হতে এগিয়ে এলেন।
করোনা নিয়ে অনলাইনে ডাক্তারদের একটি লাইভ সেমিনারে (যাকে বলা হয় ওয়েবিনার) যোগ দিলেন শচীন। এই ওয়েবিনারে তরুণ খেলোয়াড়দের কী ধরনের চোট লাগতে পারে এবং পরবর্তী পর্যায়ে কী ভাবে সেই চোটের ধাক্কা সামলে বেরিয়ে আসতে হয়, তা নিয়ে ডাক্তারদের অবহিত করেন।
পরিচিত এক চিকিৎসক সুধীর ওয়ারিয়রের কাছ থেকে শচীন জানতে পারেন, ভারতের নানা প্রান্তের অনেক তরুণ ডাক্তার লকডাউনের সময়কে কাজে লাগিয়ে নানা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তারা নিজেদের মধ্যে অনলাইনে আলোচনা করছেন। লাইভ ওয়েবিনারের আয়োজন করছেন তারা। শনিবার তেমনই এক আলোচনার বিষয় ছিল ক্রীড়াবিদদের চোট-আঘাত।
জানার পরেই শচীন সিদ্ধান্ত নেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তরুণ ডাক্তারদের হয়তো তিনি বোঝাতে পারবেন, চোট-আঘাত হলে ক্রীড়াবিদদের কীভাবে তা সামলাতে হয়। ক্রিকেট ভক্তদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকার সময় টেনিস এলবোয় আক্রান্ত হন শচীন। তখন অনেকেই ভয় পেয়েছিলেন, তার ক্যারিয়ারই হয়তো শেষ হয়ে গেলো! শচীন শুধু টেনিস এলবোকে হারিয়ে ফিরেই আসেননি, নাগপুরে প্রত্যাবর্তনের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সব শংকা দূর করেন।
সেই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তিনি তরুণ ডাক্তারদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আলোচনায় তিনি ব্যাখ্যা করেন, আলোচনাচক্রে শচীন ব্যাখ্যা করেন, সাধারণ মানুষের থেকে খেলোয়াড়দের চোট-আঘাত কতটা আলাদা। তার জন্য পৃথকভাবে কী ধরনের পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১২ হাজার ডাক্তার এই ওয়েবিনারে অংশ নেন। তাদের উদ্দেশ্যে ভারতের এই ক্রিকেট ঈশ্বর বলেন, চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সকলের কাছে তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন। সব সময় তাদের থেকে পরিচর্যা পেয়েছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার বক্তব্য তরুণ ডাক্তারদের কাজে আসবে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং ভারতীয় দলের সঙ্গে ফিজিও হিসেবে যুক্ত থাকা নীতিন প্যাটেলের সঙ্গে ওয়েবিনার পরিচালনা করেন ডক্টর সুধীর ওয়ারিয়র।