বিদায় নিচ্ছে আরো একটি বাংলা বর্ষ

বিদায় নিচ্ছে আরো একটি বাংলা বর্ষ। বিদায় সব সময়ই বেদনার। তবে নতুনের আগমনী বার্তা আর পুরোনো বছরের বিদায় বেলায় থাকে উৎসবের রঙ। এবার করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চারপাশে শুধুই বেদনার প্রতিচ্ছবি।

আজ সোমবার চৈত্র অবসানের দিন। দিনটিকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। আবহমান বাংলার এক চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি। কথিত আছে দিনটিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন।

আজ শেষ দিন ঋতুরাজ বসন্তেরও। বসন্তকে বিদায় জানিয়ে আসবে নতুন বছর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে/ঝরে ধুলায় ভোর বেলাতে/আমায় তারা ডাকে সাথে- আয় রে আয়।/সজল করুণ নয়ন তোলো, দাও বিদায়…।’

চৈত্রসংক্রান্তি বাংলার বিশেষ লোক উৎসব। প্রধানত সনাতনী সম্প্রদায়ের বিশেষ দিন হলেও চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক বাঙালির কাছে চৈত্রসংক্রান্তি এক বৃহত্তর লোক উৎসবে পরিণত হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে অত্যন্ত একটি পুণ্যদিন বলে মনে করে। এছাড়া সাধারনত এই বসন্তকালে বাসন্তী দেবী ও অর্ন্নপূর্ণাদেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। চৈত্রসংক্রান্তির আরেকটি বড় উৎসব ‘চড়ক’। চৈত্রজুড়ে সন্নাসীরা উপবাস, ভিক্ষান্নভোজন প্রভৃতি নিয়ম পালন করেন। সংক্রান্তির দিন তারা শূলফোঁড়া, বাণফোঁড়া ও বড়শিগাঁথা অবস্থায় চড়কগাছে ঝোলেন।

তবে, এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পয়লা বৈশাখসহ সবধরনের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সারাদেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে এই ছুটি। এই অবস্থায় চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না এবার।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)