বৈশ্বিক মহামারি করোনায় কঠিন সময় পাড় করছে চা বিক্রেতা ও সেলুনকর্মীরা
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে নানা প্রকার বিধি-নিষেধ জারি করেছে সরকার। ফলে গোটা বাংলাদেশের অর্থনীতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কলারোয়ার নিম্ন আয়ের মানুষেরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যেমন উপজেলার চা বিক্রি করে ও মানুষের চুল ও দাঁড়ি ছেটে বা কেটে জীবিকা নির্বাহ করে এমন কয়েক হাজার মানুষের কর্তাব্যক্তিরা। সরকারের নির্দেশনায় তাদের আয়ের একমাত্র অবলম্বন চায়ের দোকান ও সেলুন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোজগারে টান পড়েছে তাদের। এখন তারা করোনায় রুটি-রুজি হারিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে এমন মন্তব্য করেছেন উপজেলার একাধিক চা বিক্রেতা ও সেলুনকর্মী।
এ বিষয়ে কলারোয়া পৌর সদরের চায়ের দোকানদার আব্দুর রহিম ও বাবুর সাথে কথা বললে, তারা জানান প্রায় গত একমাস যাবত চায়ের দোকান বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতা আমরা পায়নি। আসলে সহযোগিতার জন্য হাত পাততেও লজ্জা পাচ্ছি। এভাবে যদি আরও কিছুদিন দোকান বন্ধ থাকে তাহলে আমরা আসলে পরিবার নিয়ে খুবই মসিবতে পড়ে যাবো। কলারোয়া বাজারের আর এক চায়ের দোকানদার আবুল খায়েরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা চায়ের দোকানদাররা সবচেয়ে বেশি বিপদে আছি। না পারছি কাউকে কিছু বলতে, না পারছি সইতে। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোর দাবি করেছেন আমাদের মত যারা চায়ের দোকানদার আছে তাদের যেন আলাদা লিস্ট করে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়। তা না হলে আমদের না খেয়ে মারা যাওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা থাকবে না। এ বিষয়ে কলারোয়া পৌর সদরে সেলুনকর্মী সুনীল কুমার, উত্তম কুমার জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে দোকান বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ সেলুনকর্মী আমরা বাড়িতে অবস্থান করছি। আমরা কর্মহীন হয়ে বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাদের কাছে জমানো যে টাকা ছিল, তা শেষ হয়ে গেছে। এ বিপদ থেকে কখন উদ্ধার হব একমাত্র ভগবান ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। এখন পর্যন্ত আমরা কোন খাদ্য সহায়তা পায়নি।
এ -ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কমনা করে সেলুনকর্মীরা বলেন, দেশের এই ক্লান্তিকালে আমরা দোকান বন্ধ রেখে মানুষকে ভালো রাখতে সহযোগিতা করছি, তবে সেই সাথে আমরা যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সরকারি খাদ্য সহায়তাটুকু যথাযথভাবে পায়। সে ব্যাপারে প্রশাসন যেনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাটুকু আমাদের জন্য করেন।
Please follow and like us: