কলারোয়ায় করোনার মধ্যে বাপ-বেটাকে কুপিয়ে জখম

কলারোয়ায় জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আব্দুল কুদ্দুস সরদার নামে এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম ও তার ছেলে নাঈমকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১২নং যুগিখালী ইউনিয়নের ওফাপুর গ্রামে। আহত আব্দুল কুদ্দুস ওই গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব সরদারের ছেলে। এঘটনায় আহত নাঈম-উল-হাসান বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান সরদারের দুই ছেলে আলম সরদার ও হায়দার সরদারকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুস সরদারের সাথে প্রতিপক্ষ হায়দার ও আলম সরদারের জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এঘটনায় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় কয়েকবার শালিসী বৈঠক করার চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষরা শালিসে হাজির হয় না। এক পর্যায়ে শনিবার (১১এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুল কুদ্দুস সরদার তার নিজ স্বত্ব দখলীয় জমিতে লাগানো বেল গাছ থেকে বেল পেড়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বেল পাড়ার বিষয়টি প্রতিপক্ষরা জানতে পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কুদ্দুস সরদারের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে বেল পাড়া কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের কথাকাটাকাটির একপযার্য়ে আলমের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আব্দুল কুদ্দুসের পেটে আঘাত করতে গেলে ছুরিটি ধরে ফেলে আব্দুল কুদ্দুস। এসময় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে আরেক প্রতিপক্ষ হায়দার সরদার তার হাতে থাকা গাছ কাটা দা দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় পিতাকে উদ্ধার করতে বাদী ছুটে গেলে তাকেও মারপিট করে আহত করা হয়। পরে তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আব্দুল কুদ্দুসকে উদ্ধার করে থানা পুলিশকে দেখিয়ে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে হায়দার আলী ও আলমের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান, এঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)