করোনা প্রাদুর্ভাব এড়াতে জেলাব্যাপি লাঠিহাতে বেপরোয়া গ্রামপুলিশ

করোনা প্রাদুর্ভাব এড়াতে জেলা ব্যাপি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গ্রাম পুলিশ। লাঠি হাতে মারমুখী অসৎ আচরণ করছে তারা গ্রাম্য জনসাধারণের সাথে।

গত কয়েকদিনে জেলায় কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রেক্ষিতে দেখাযায় গ্রাম পুলিশ সরাসরি সাধারণ মানুষের উপরে আইন প্রয়োগ করছে। যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক,যেটা তাদের কাম্য নয়। বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত অপ্রত্যাশিত ঘটেযাওয়া সংবাদ গুলো উল্লেখ করা হলো।

গত ৬ এপ্রিল দৈনিক পত্রদূত অনলাইন প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়,করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নেমেছেন সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ সদস্যরা। সংবাদপত্রে বলা হয়েছ জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আগরদাঁড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শনিবার সকাল থেকে লাটিহাতে এ কর্যক্রম শুরু করে তারা।

একই দিন ৬ এপ্রিল দৈনিক পত্রদূত অনলাইনে প্রকাশি” গ্রামপুলিশ বটে” শিরোনামে আরও একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলাহয়,আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নুরুজ্জামান বেপরোয়া ভাবে তোষিকে কাইফুর সাথে চরম খারাপ ব্যবহার করার পাশাপাশি তাকে মারার জন্য উদ্যোত হয় ওই গ্রামপুলিশ।

সংবাদ পত্রে প্রকাশিত খবর নগরঘাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর নির্দেশে ৮ এপ্রিল থেকে ইউনিয়নের সকল বাজারে জনসমাগম কমাতে মাঠে নেমেছে ইউনিয়নের সকল গ্রামপুলিশ। পত্রদূত পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে দেখাযায় গ্রামপুলিশের হাতে লাঠি।

এছাড়া ১০ এপ্রিল দৈনিক কালের চিত্র অনলাইনে প্রকাশিত হয়, আশাশুনিতে ভিত্তিহীন ভাবে সাংবাদিকে আটক করেছে গ্রামপুলিশ। যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।

এছাও ১১ এপ্রিল পত্রদূত অনলাইনে প্রকাশিত হওয়া আরও একটি সংবাদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদাহের রেউইতে সাপ্তাহিক বাজার বন্ধ করতে যেয়ে গ্রামপুলিশের কানে চড় মারেন ছুটিতে আসা নৌবাহিনীর এক সদস্য । চড় খাওয়া গ্রামপুলিশ জানান, রেউর বাজারে সাপ্তাহিক বাজার বসেছে  জানতে পেরে তিনজন গ্রামপুলিশ সেই বাজার ভেঙ্গেদেওয়ার সময় নৌবাহিনীর এক সদস্য বয়স্ক এক গ্রামপুলিশকে চড় মারার ঘটনা ঘটে।

শনিবার ১১ এপ্রিল সাপ্তাহিক বাজার বন্ধ করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান সহ নয়জন গ্রামপুলিশ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায় দৈনিক সংকল্পে। প্রকাশিত সংবাদে ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্যে বলাহয়।

কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান বাছেত আলি হারুন জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আমি ও পরিষদের সকল গ্রামপুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাদাকাটি হাজির হাটখোলায় যাই। সেখানে সাপ্তাহিক হাট বসেছিলো। আমি ও আমার গ্রামপুলিশ হাটে আগত মানুষ জন সহ দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলি।

এসময় বাজারে আগত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের সাথে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়,হাতাহাতি ও হয় তাদের।

গ্রামপুলিশকে নিয়ে ঘটেযাওয়া এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দুঃখজনক। করোনা প্রাদুর্ভাব এড়াতে সরকারের নির্দেশে দিনরাত জেলাব্যাপি কঠোরতার সাথে কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ। সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে গণসচেতনতা মূলক প্রচার প্রচারণাসহ সরকারের নিয়ম অমান্য নারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থাও নিচ্ছেন জেলা প্রশাসন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)