দেশে করোনায় একদিনে ছয় জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৪
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৯৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন আরো ৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১১৮৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।
তিনি আরো জানান, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৯৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৬৯ জন ও নারী ২৫ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ৩৭ জন ও নারায়ণগঞ্জের ১৬ জন। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ বছর বয়সের নীচে আছে ৪ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব আছেন ১৩ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ছয়জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও একজন নারী। এদের মধ্যে তিনজন ঢাকার, দুজন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন পটুয়াখালীর ছিলেন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। বিশ্বের প্রায় ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৭ হাজার ৯১২ জন এবং মারা গেছেন ৯৫ হাজার ৮১৩ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ১৮০ জন।
বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। করোনার বিস্তাররোধে দেশের সব স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সব বিপণিবিতান। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আদালতও। এমনকি একাধিক এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশের সব জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।