আশাশুনির গদাইপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
আশাশুনি উপজেলার গদাইপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল, খুলনা মেডিকেল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে গদাইপুর মৎস্য সেট এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহতরা হচ্ছেন, গদাইপুর গ্রামের মোজাহার সরদারের পুত্র আহসান হাবিব টগর (৪৫), একই গ্রামের এবাদুল ফকিরের পুত্র কাজল ফকির (২৫), মজিদ মোল্যার পুত্র জাকির মোল্যা (৩৫), সামাদ সরদারের পুত্র সেলিম সরদার (২২) এবং অপর পক্ষে সরবত মোল্যা (৫৫), রব্বানী মোল্যা (৬৫), সবুজ মোল্যা (২৮), লাদেন মোল্যা (২২) ও শৈইমাল মন্ডল (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিমের ভাই আহসান হাবিব টগর মাছ বিক্রয়ের জন্য গদাইপুর মৎস্য সেটে যান। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একাধিক মামলার আসামী গদাইপুর গ্রামের রব্বানী মোল্যার পুত্র সবুজ মোল্যার নেতৃত্বে মোমিন মোল্যা, মফিজুল মোল্যা, আছাদুল মোল্যা, মজিদ মোল্যাসহ ৮/১০জন সংঘবদ্ধ হয়ে হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে বাঁচাতে জাকির ও সেলিম এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করা হয় এবং টগরের কাছে মাছ বিক্রয়ের নগদ টাকা ও সেলিমের মোটর সাইকেল কেড়ে নেয়। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে টগরকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই টগরকে মারপিট করা হয়েছে এমন কথা ছড়িয়ে পড়লে করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে এলাকার শতশত মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে সরবত ও রব্বানীসহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও সরবত মোল্যাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আশাশুনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। কোন পক্ষ অভিযোগ করেনাই। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।