আশাশুনির হাজরাখালিতে ভেড়ীবাঁধে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালিতে পাউবো’র ভেড়ীবাঁধে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। দু’শতাধিক হাত বাঁধে ভাঙ্গন ও ভয়াবহ ফাঁটল বিধ্বস্থ হয়ে যেকোন সময় খোলপেটুয়া নদীর পানিতে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
ইউনিয়নে মাড়িয়ালা ও হাজরাখালি গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ী বাঁধের অবস্থা অনেক আগে থেকেই খারাপ ছিল। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে থেকে প্রায় প্রতি বছরই এলাকাবাসী চরম ভয়ে ভয়ে কাটাতে বাধ্য হয়ে থাকে। কখন বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে সবকিছু একাকার হয়ে যায় এ দুশ্চিন্তায়। ইতিমধ্যে কয়েকবার বাঁধটি ভেঙ্গে এলাকার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। বাঁধটিতে টেকসই কাজ না করায় বাঁধ নিয়ে চিন্তার শেষ হচ্ছেনা। গত পূর্ণিমা গণে (বুধবার বিকালে) বাঁধের প্রায় ২০০ হাতের মতো এলাকার বড় অংশ নদী গর্ভে চলে যায়। এলাকার মানুষ তখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় পড়ে যায়। সাথে সাথে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ বাঁধ রক্ষায় প্রাথমিক ভাবে কোন রকমে আটকিয়ে রাখলেও কতক্ষণ টিকে থাকবে তা নিয়ে শংসয় বিরাজ করছে। বাঁধ রক্ষা করতে না পারলে হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, কলিমাখালী, বকচর, নাকতাড়া, লাঙ্গলদাড়িয়া, কলিমাখালিসহ বহু গ্রামের ঘরবাড়ি ও মৎস্য ঘেরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, আগামী কাল বাঁধের কাজ যদি শেষ না করতে পারি তাহলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। বাঁধের অবস্থা ভয়াবহ। দ্রুত বাঁধটি রক্ষায় বড় ধরনের কাজ না করা হলে বর্ষা মৌসুমে শেষ রক্ষা সম্ভব না হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।