রোববার থেকে ১০ টাকায় চাল বিক্রি শুরু

করোনাভাইরাসের প্রভাবে শ্রমজীবী মানুষদের ঘরে বসে সময় কাটাতে হচ্ছে। কাজ না থাকায় তারা যেন খাদ্য সংকটে না পড়ে সেজন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৫ এপ্রিল থেকে ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে বিশেষ ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) কার্যক্রমের আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ১০ টাকা কেজি দরে এ চাল বিক্রি শুরু হবে।

জানা গেছে, খোলাবাজারে ওএমএসের চালের কেজি ৩০ টাকা ছিল। এটির দাম কমিয়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দামে আগামী রোববার থেকে চাল বিক্রি শুরু হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার জারি করা এক নীতিমালায় বলা হয়েছে, একজন ক্রেতা সপ্তাহে একবার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। এক পরিবার থেকে একজনের বেশি কেউ চাল কিনতে পারবেন না। সপ্তাহের প্রতি রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হবে। ঢাকায় প্রতি কেন্দ্রে দৈনিক তিন টন এবং ঢাকার বাইরে প্রতিটি কেন্দ্রে দুই টন করে চাল দেয়া হবে।

নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, কেন্দ্রগুলো যাতে বস্তিসহ নিম্নবিত্ত লোকজন যে এলাকায় বসবাস করেন সেখানে স্থাপন করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা জনপ্রতিনিধিদের তদারকিতে বিশেষ এই কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শহরে ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএস কার্যক্রমের জন্য চলতি অর্থবছরে প্রায় এক লাখ টন চাল বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র এক হাজার টন বিক্রি হয়েছে। ৪৩ টাকা কেজি দরে কেনা এই চালে ৩৪ টাকা ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা হবে। এর জন্য সংশোধিত বাজেটে অতিরিক্ত আরও ৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন মোটা চালের কেজি ৩৮ থেকে ৫০ টাকা, যা গত মাসের শুরুতে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ওএমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির কথা বলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)