করোনা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা মানছে না শ্যামনগরের মানুষ
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাত্র ৩টা থেকে ভোট ৬টার মধ্যে মৌ-খামারিরা ট্রাক ভর্তি মৌমাছির বক্স নিয়ে আসছে সুন্দরবনের ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য। শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর, সিংহড়তলী, চুনকুড়ি, মীরগাং, দক্ষিণ কদমতলা, টেংরাখালী সহ সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে তারা অস্থায়ী মৌখমার স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে। মৌখামারিরা ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌ-মাছির বক্স নিয়ে অস্থায়ী খামার বসিয়ে মৌসুমি ফুলের মধু সংগ্রহ করে উপকূলে চলে এসেছে সুন্দরবনের ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য। এরা এলাকায় এসে বাহিরে ঘোরা ফেরা করছে মানছে না করোনা প্রতিরোধের কোন নিয়ম নীতি।
এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর সহ অনেক বাজারের দোকানদারনা ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানসহ অন্যান্য সকল প্রকার দোকান খোলা রাখছে। খুব ভোরে বাজারের কয়েকটি চায়ের দোকানের সার্টার অর্ধেক খুলে চা বিক্রয় করছে। অনেক দোকানের ভিতরে খরিদ্দার ঢুকিয়ে সার্টার বন্ধ করে বাহিয়ে এক জন পাহারা দিচ্ছে সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে না অন টাইম কাপ সকালে চা খাওয়ার জন্য ভিড় করছে বহু মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মানুষের মাধ্যমে চা এর কাপের মাধ্যমে ছাড়তে পারে করোনা। এছাড়া সেলুনের দোকনগুলো কাষ্টমারদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সার্টার বন্ধ করে ভিতরে বসে সেলুনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফলে এভাবেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস কারণ সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মৌ-খামারিরা চুল কাটানো বা সেভ করতে আসছে। শুক্রবার খুব সকালে হরিনগর বাজারে লক্ষ্য করা যায় মানুষের ভিড় মানছে না কোন নিয়ম নীতি। এখানের কিছু সার্থন্বেষী মানুষ প্রশাসনকে পাহারা দিয়ে বাজার সবসিয়ে কেনা বেচা করছে। সাধারণত প্রশাসনের কর্মকর্তারা সকাল ১০টার পরে।
উপকূল এলাকায় এসে পৌছায় তার আগে বাজারে দোকান খুলে কেনা বেচা করে দোকানিরা এবং ব্যাপক মানুসের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ভোরে ও বিকাল ৪টার পরে বাজারে অকারনে মানুষ চলা ফেরা করে এবং চা এর দোকানে সার্টার বন্ধ করে আড্ডা দেয় এক দল বাহির হলে আরেক দল ঢোকে। প্রশাসন আসছে শুনলে দ্রুত পালিয়ে যায়। বাজারে কম্পিটারের দোকানের সার্টার সামান্য খুলে কাষ্টমার ভিতরে ঢুকায়ে নিয়ে খুব সকালে ও বিকালে মোবাইল ফোনের মেমরী লোড করছে দোকানারা এবং বাহিরে একজন দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে কখন প্রশাসন আসে। সংকেত দিলে ভিতরে চুপ করে বসে থাকবে। তাপস মন্ডলের মিষ্টির দোকানের ২য় তলায় মিষ্টি তৈরি করে খুব সকালে ও বিকালে সার্টার অল্প খুলে ভিতরে মানুষ ঢুকায়ে নিয়ে মিষ্টি বিক্রয় করছে এবং একই প্রিচে বা পাত্রে মিষ্টি পরিবেশন করছে এতে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। বাজারের দোকানগুলো কাষ্টমার ঢুকায়ে নিয়ে এমন ভাবে সার্টার বন্ধ করে পাাহারা দিয়ে পন্য বিক্রয় করছে বাহির থেকে দেখলে সহজে বোঝার উপায় নেয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে একজন ব্যক্তির থেকে বহু মানুষের ছড়িয়ে যাবে করোনা। এলাকার সচেতন মহল এ বিষয়ে হতাষা প্রকাশ করছে এবং দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
Please follow and like us: