শ্যামনগরে বন অফিস কর্মী হত্যার রহস্য উদঘাটন : তিন খুনি আটক
শ্যামনগর থানা পুলিশ বন অফিস কর্মী নবাব আলী গাজী (৬৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। দীর্ঘ আড়াই মাস পর তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুর রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন করে। খুনির সাথে জড়িত ৩ ভাড়াটিয়া খুনিকে পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজ নিজ বাড়ী থেকে আটক করেছে।
নবাব আলী উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নে পূর্ব কৈখালী গ্রামে মৃত মজিদ আলী গাজীর ছেলে। সে কৈখালী বন অফিসে দীর্ঘদিন ট্রলার চালক হিসাবে কর্মরত ছিল। আটককৃত ৩ পুলিশ হলো গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুর থানার শৈলখোলা গ্রামের লিয়াকত মোল্যার ছেলে আজিজুল মোল্যা এবং শ্যামনগর উপজেলা মুন্সিগঞ্জ গ্রামে আব্দুর রহিম গাজীর ছেলে মতিয়ার ও ইসমাইল গাজীর ছেলে আব্দুর রহিম গাজী। খুনিরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান, কৈখালী ইউনিয়নের সাহেব খালী গ্রামের মোরশেদ কয়ালের ছেলে ইব্রাহিম খলিল সুন্দরবনে নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরত। নবাব আলী, তাকে বিষ দিয়ে মাছ ধরতে নিষেধ করে। এতে নবাবের সাথে ইব্রাহিম খলিলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। সে নবাবকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং পেশাদার খুনি আজিজুল এর সাথে চুক্তিকরে। পরিকল্পনা মতে গত ১৩ জানুয়ারী রাত ১০টার দিকে ইব্রাহিম কৌশলে প্রয়োজনীয় কাজের কথা বলে নবাবকে বাড়ীর বাহিরে ডেকে নেয়।
এক পর্যায়ে কৈখালী বন অফিস সংলগ্ন পল্টনের উপরে নবাবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ মরাদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টু শ্যামনগর থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ওসি আলহাজ্জ্ব নাজমুল হুদা জানান।