করোনায় আক্রান্ত পাঁচ লাখ ছাড়ালো
মহামারি করোনাভাইরাসের দাপট কিছুতেই কমছে না। দিন দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের লাইভ তথ্যমতে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১০ হাজার ৫২৪ জন। অন্যদিকে মারা গেছেন ২৩ হাজার ২৮ জন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটটির তথ্যানুযায়ী, ভাইরাসটিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এর মূলকেন্দ্র চীনে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ২৮৫ জন সংক্রমিত হয়েছে এতে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৮৭ জনের।
তবে করোনায় মৃত্যুর দিক থেকে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে ইউরোপের দেশ ইতালি। সেখানে একদিনেই ৭৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ভাইরাসটিতে দেশটির মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪০৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২ হাজার ২৩৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৫৮১ জন, আর প্রাণ গেছে ১ হাজার ৩৬ জনের।
এদিকে স্পেনে আক্রান্ত ৫৬ হাজার ১৮৮ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৮৯ জনের। জার্মানিতে আক্রান্ত ৩৯ হাজার ৫০২ জন এবং মারা গেছেন ২২২ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ৯ হাজার ৫২৯ ও মৃতের সংখ্যা ৪৬৫। তাছাড়া ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক লোক প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অপরদিকে বাংলাদেশও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। দেশে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পাশাপাশি প্রাণ গেছে পাঁচজনের। এছাড়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন আরো অনেকে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশফেরত।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
এ ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।