রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এ সময় পাতে রাখুন সজনে
যে কোনো রোগ থেকে বাঁচতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষভাবে কাজ করে। যাদের শরীরে এর ঘাটতি রয়েছে তারা সহজেই যে কোনো রোগে মারাত্মভাবে আক্রান্ত হতে পারেন। এমন রোগীরা যে কোনো রোগে আক্রান্ত হলে সহজেই আরোগ্য লাভ করতে পারে না। তাদের শরীরে কোনো প্রতিষেধকও তাতক্ষণিক কাজ করে না।
নিশ্চয়ই আপনারা এরই মধ্যে জেনেছেন, যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জানেন কি? এ পর্যন্ত যারা করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন তারা প্রত্যেকেই এ সমস্যায় ভুগছিলেন।
তাই মহামারি এই রোগ থেকে বাঁচতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমন খাবার খেতে হবে। এতে সহজেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে গাঁ বাঁচিয়ে চলা যাবে! তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আর সেই পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে একটি হল সজনে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সজনের উপকারিতা সম্পর্কে-
সজনের ডাঁটার পুষ্টি
সজনে ডাঁটাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়ামের এবং আয়রন রয়েছে। আয়রনের দিক থেকে এটি পালং শাকের চেয়েও পাঁচ গুণ বেশি শক্তিশালী। প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন।
এছাড়াও সজনে ডাঁটায় গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতাসহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
সজনে পাতার গুণাগুণ
সজনে ডাঁটা ও সজনে ফুল যে কোনো ধরনের ভাইরাস ঠেকাতে সক্ষম। সজনে শাক খেলে যন্ত্রণাধায়ক জ্বর ও সর্দি দূর হয়। সজনে ডাঁটা ও পাতার রস খেলে শ্বাসকষ্ট সারে। এতে থাকা প্রদাহ-বিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
ফলে অ্যালার্জির কারণে যে শ্বাসকষ্ট হয় তা দূর হয়। সজনের আঁঠা দুধের সঙ্গে খেলে মাথা ব্যথা সেরে যায়। সজনে পাতায় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। যা শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ায়।