কোয়ারেন্টাইনের দায়িত্বে সেনাবাহিনী-সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমে বাড়ছে। গতকাল পর্যন্ত যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই বিদেশফেরতদের দ্বারা সংক্রমিত। সিভিল এভিয়েশনের হিসাবে এখনো প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ আসছেন বিদেশ থেকে। গত দুই মাসে বিভিন্ন পথে দেশে এসেছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ।
ছড়িয়ে পড়েছেন সারাদেশে। এদেরকে বিমানবন্দরে প্রাথমিক পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে বেশিরভাগই তা মানছেন না।
বরং করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে চলেছেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে সে আশঙ্কায় সারাদেশে এখন বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য অভিযান চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকায় বিদেশফেরত এসব যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা গেলে এমন উদ্বেগের সৃষ্টি হতো না।
এতটা ঝুঁকিও থাকতো না। সে হিসাব থেকেই বিশ^ব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তৃতি প্রতিরোধে ঢাকায় দুইটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে খুব শীঘ্রই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হবে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের শান্তিমিশনেও বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। শান্তি মিশনগুলোতেও সেনাবাহিনী এ ধরনের কাজ করে থাকে। কাজেই বাংলাদেশের করোনা মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বলে সাধারণ মানুষ মনে করছে।
এর আগেও বিভিন্ন সময় বন্যা, সাইক্লোন ও ঘুর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং সেনাবাহিনী সেই দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাবাহিনীকে দেয়ার ফলে জনমনে স্বস্তি হবার প্রধান কারণ হলো- প্রথমত, জনগণ মনে করে যে সেনাবাহিনী কারো প্রতি অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না; বরং নিয়ম-নীতি অনুযায়ী নির্মোহভাবে কাজ করে।
দ্বিতীয়ত, সিভিল প্রশাসন বা অন্য বাহিনীর লোকজনের নির্দেশনা সাধারণ মানুষরা শুনতে চায়না, নির্দেশ অমান্য করতে চায়। কিন্তু সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে সাধারণত তেমনটি করেনা।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সুন্দর ইমেজ রয়েছে যে, তারা সৎ-নির্ভীক এবং দেশপ্রেমিক। তাই তাদের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা আর বিশ্বাস বেশি।
সাধারণ মানুষ অনেকেই মনে করছে যে, যথাযথ সময়ে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে একটি বড় ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করলো বলে মনে করছে।
গতকাল উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে দিয়াবাড়ীতে রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৪টি ভবন কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অন্যগুলো প্রস্তুতের কাজ চলছে।
বিমান বন্দর সংলগ্ন হাজী ক্যাম্পও প্রস্তুতের কাজ চলছে। সেনাবাহিনীর হাতে এ কাজের দায়িত্ব দেয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তৃতি প্রতিরোধে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ও সাধারণ নাগরিকরা।
বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার পর বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন হাজারো প্রবাসী। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বা ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, দেশের বিভিন্ন জেলায় হাজারেরও বেশি প্রবাসী ফিরে এসেছেন। তবে তাদের মধ্যে খুব কমই রয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে।
অনেক জায়গায় এ সংখ্যা ডজনেরও কম। এতে করে স্থানীয় পর্যায়ে করোনার ভয়াবহ বিস্তার ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত দেশে আক্রান্তদের সবাই বিদেশ থেকে আসা আত্মীয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বিমান বন্দর সংলগ্ন হাজী ক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ী (সেক্টর-১৮) সংলগ্ন রাজউক এপার্টমেন্ট প্রকল্পে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ দুইটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত দিয়াবাড়ীতে বিদেশফেরত কাউকে রাখা হয়নি।
তবে শনিবার কিংবা রোববার থেকে এ কার্যক্রম (কোয়ারেন্টাইন) শুরু হবে। পরীক্ষার পর কারো ভেতর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না পেলে ছেড়ে দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলে কী কী করতে হবে তাও জানানো হবে।
আইএসপিআরের পরিচালক লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, বিমান বন্দর সংলগ্ন হাজী ক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ী (সেক্টর-১৮) সংলগ্ন রাজউক এপার্টমেন্ট প্রকল্পে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দুইটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। খুব শীঘ্রই এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিমানবন্দরে কর্মরত একটি সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সেনাবাহিনীকে এ দায়িত্ব আগে দেয়া হলে বিদেশফেরত যাত্রীরা এভাবে নিজ নিজ এলাকায় চলে যেতে পারতো না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তৃতি প্রতিরোধে কোয়ারেন্টাইন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকায় শুধু বিদেশ ফেরত নয়, দেশের মধ্যেও যারা সন্দেহভাজন তাদের বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, ইটালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সম্প্রতি যারা বাংলাদেশে এসেছেন তাদের সরকারের নির্দেশ না মানায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতংক তৈরি হয়েছে। এখন সেই আতংক কেটে যেতে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গুলশানের এক ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিলম্বে হলেও সেনাবাহিনীকে এ দায়িত্ব দেয়ায় এক দিকে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কম হবে, অন্যদিকে যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তাদের যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিয়েও কেউ কোন অভিযোগ করার সুযোগ পাবেন না। কারন অতীতে যে কোন দুর্যোগে সেনাবাহিনী তাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের সাধারন মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে কোয়ারেন্টাইন
আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ ও বিস্তৃতির সম্ভাব্যতা এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনাবাহিনী দুইটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিমান বন্দর সংলগ্ন হাজী ক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ী (সেক্টর-১৮) সংলগ্ন রাজউক এপার্টমেন্ট প্রকল্পে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ দুইটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিংকরত: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গকে বিমান বন্দরে প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রমশেষে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
হস্তান্তরের পর সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সকল যাত্রীদের বিমান বন্দর হতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্থানান্তর, ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম সম্পন্ন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকাকালীন সময়ে আহার, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ কর্মসূচী বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়/সংস্থা/অধিদপ্তর/বাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
আশকোনা ও উত্তরা দিয়াবাড়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে দুইটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সকলকে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে আশকোনা হজ ক্যাম্পে মোবাইল নম্বর-০১৭৬৯০১৩৪২০ ও ০১৭৬৯০১৩৩৫০ এবং উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পে ০১৭৬৯০১৩০৯০ ও ০১৭৬৯০১৩০৬২ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
দিয়াবাড়ীতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এলাকাবাসীর প্রতিবাদ
করোনা আতঙ্কের মধ্যে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার না করার দাবিতে অবস্থান নিয়েছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, আবাসিক এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার ফলে স্থানীয়রা ঝুঁকিতে পড়বে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শতাধিক এলাকাবাসী অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
এদিকে, উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টর এলাকার দিয়াবাড়ীতে রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ভবনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপনের যাবতীয় কাজ শুরু হয়েছে। কুঞ্জলতা নামের ওই কম্পাউন্ডের ৪টি ভবনের ৩৩৬টি ফ্ল্যাট কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর মতে, আবাসিক এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। এর ফলে এখানে বসবাসরত প্রায় ৩ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁঁকির মধ্যে পড়বেন।
ডিএমপির তুরাগ থানার ওসি মো. নুরুল মোত্তাকিন জানান, প্রায় শতাধিক এলাকাবাসী অবস্থান নিয়ে এখানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার না করার দাবি জানিয়েছেন। আমরা তাদের সাথে কথা বলছি।
দিয়াবাড়ীতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে উত্তরায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলে কাজ শুরু করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই ৩৩৬টি ফ্ল্যাট কোয়ারেন্টাইনের জন্য পরিষ্কার করা হয়।
বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে দিয়াবাড়ীতে রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৪টি ভবন কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। মাধবীলতা নামে ওই ভবনগুলোয় ৮৪টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। ৩৩৬টি ফ্ল্যাট কোয়ারেন্টাইনের জন্য রাখা হয়েছে। সকাল থেকেই সেখানে পরিষ্কার করা হয় এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র আনতে শুরু করে সেনাবাহিনী। এ সময় দেখা গেছে, সেখানে উৎসুক জনতার ভিড়। এ কাজে তাদের সহায়তা করছে রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
রাজউক প্রকেল্পর দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ঝুঁঁকির কথা বিবেচনা করেই এখানে কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই ক্যাম্প থাকবে। এছাড়া যারা বিভিন্ন ভবনে বাস করছেন তাদের তালিকাও সেনাবাহিনীর কাছে দেয়া হয়েছে।
আইএসপিআর পরিচালক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ আরো বলেন, দেশের স্বার্থেই সরকারি আদেশ প্রতিপালনের জন্য রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে কোয়ারেনটাইন ক্যাম্পের দায়িত্ব সেনাবাহিনী নিয়েছে। এ কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত বা প্যানিক না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয়দের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে আইএসপিআর পরিচালক বলেন, কারা এখানে অবরোধ করেছেন বা বিক্ষোভ করেছেন তা আমার জানা নেই। তবে যতটুকু জেনেছি, স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এটির বিরোধিতা করছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এটি বোঝানোর চেষ্টা করছেন। আশা করছি, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। মনে হয় না এটি বড় কোনো ইস্যু হবে।
সেনাবাহিনী তাদের এই কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে নিয়ে আসবে। তবে তার আগে সেনাবাহিনী তাদের ডাটা এন্ট্রি করবে। কোয়ারেনটাইন ক্যাম্পে তাদের বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাগুলো সেনাবাহিনী নিশ্চিত করবে। আইএসপিআর পরিচালক বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটি একটি কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প, এটি কোনো আইসোলেশন ক্যাম্প নয়।