সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন
বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) ১২টা ১ মিনিটে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বাঙালী জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এসময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা তালা-কলারোয়া ০১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ , সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার), সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি.এম নুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোজাফ্ফার রহমান প্রমুখ।
এসময় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও দলীয় নেতৃবৃন্দের ঢল নামে। এ সময় নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে কিছু সময় দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে প্রথম প্রহরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বাঙালী জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জমায়েত হয়। এছাড়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ১০০বার তোপধ্বনী, সূর্যোদয়ের পরে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় কেক কাটা, মিষ্টি বিতরণ ও দেয়াল পত্রিকা উদ্বোধন। সকাল সাড়ে ৯টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস শত পাউন্ড কেক কাটা, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে মিষ্টি বিতরণ, দেয়াল পত্রিকা ও স্মরণিকা উন্মোচন। এভাবে একই কর্মসূচি চলবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে। এরপর সকাল ১১টায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ। সকাল সাড়ে ১১টায় ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাসজমির দলিল হস্তান্তর, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ‘জমি আছে ঘর নাই’ এমন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর। দুপুর ১২টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন। দুপুর সাড়ে ১২টায় মুজিব তোরণ উদ্বোধন, সুবিধামত সময়ে দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা। দুপুর দেড়টায় শিশু পরিবার, হাসপাতাল ও জেলখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন। দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে এতিমখানায় কোরান খতম ও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন। রাত ৮টায় শতবর্ষে শত আতশবাজি প্রজ্বলন। এছাড়া ১৬ মার্চ এবং ১৭ মার্চ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, ভবন ও প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জাকরণ করা হয়।