মাস্কের দাম ৩০ টাকার বেশি নিলে ব্যবস্থা
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্কে সার্জিক্যাল মাস্কের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশেও এ ভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত হওয়ার পর মাস্কের চাহিদা বিপুল পরিমাণে বেড়ে গেছে। আর চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্কের দামও ইচ্ছামতো বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বিষয়টি আমলে নিয়ে সার্জিক্যাল মাস্কের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মাস্ক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেন একই ডিস্ট্রিবিউটরকে একটি ইনভয়েসে ৫০০ পিসের বেশি মাস্ক সরবরাহ না করে, সেই নির্দেশনা দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন।
বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি, মেডিকেল ডিভাইস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, ওষুধ ও মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনকারী এবং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় থ্রি লেয়ার (তিন স্তরের) সার্জিক্যাল মাস্কের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি পিস ৩০ টাকা, যা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে; নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে মাস্ক বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ; মাস্ক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক একই ডিস্ট্রিবিউটরকে একটি ইনভয়েসে ৫০০ পিসের বেশি ফেস মাস্ক সরবরাহ না করা। এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে এর প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ৫০ এমএল সাইজে উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।