মাত্র ২৮ মিনিটেই ঢাকা থেকে মাওয়া

মাত্র ২৮ মিনিটেই ঢাকা থেকে মাওয়া যাওয়া যাবে। কথাটি স্বপ্নের মতো হলেও বৃহস্পতিবার থেকে তা বাস্তবে রূপ নেবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে। ফলে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে দেশের সড়কপথে- এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাবিরুল ইসলাম খান ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮) যাত্রাবাড়ি ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া বাবু বাজার লিংক রোডসহ) মাওয়া পর্যন্ত এবং পাঁচ্চর-ভাঙা অংশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ চারলেনে উন্নয়নের জন্য সমাপ্তকৃত নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হবে।

একইদিন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ৬ লেন বিশিষ্ট ৮ কিলোমিটার কর্ণফুলী (শাহ আমানত শাহ সেতু) সেতুর এপ্রোচ সড়ক এবং ওয়েস্টান বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে নির্মিত ২৫টি সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে ২০১৬ সালে শুরু হয় প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দক্ষিণের মানুষ সরাসরি যাতে রাজধানীতে প্রবেশ করতে পারে তার জন্যই এই পরিকল্পনা। মাত্র তিন বছরের মাথায় সেই স্বপ্ন এখন বাস্তব। জুরাইন, পোস্তগোলার জ্যামে কিছুদিন আগেও যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো, এখন সেখানে শুধুই এগিয়ে চলা। দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েতে থাকছে দৃষ্টিনন্দন চার লেনের সড়ক। যে সড়ক ধরে দ্রুত গতিতে চলতে পারছে যানবাহন। স্থানীয়দের চলাচলের জন্য মূল সড়কের পাশেই করা হয়েছে দুই লেনের সার্ভিস সড়ক। তাই কোথাও নেই থেমে থাকার ভোগান্তি।

দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে। থাকছে ৪টি বড় সেতু, ছোট সেতু ২৫টি আর ৫টি ফ্লাইওভার। এ পথে রেল ওভারপাস আছে ১৯টি। যাত্রা পথে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি শেষ হওয়ায় খুশি পরিবহন শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ।

এর আগে ফরিদপুর থেকে মাদারীপুর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের ২০ কিলোমিটার নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় তার সুফল পাচ্ছিলো মানুষ। এবার মাওয়া অংশের ৩৫ কিলোমিটার কাজ শেষে আমূল পাল্টে যাচ্ছে পুরোদৃশ্যপট।

এমন উন্নয়নে পুরো দক্ষিণবঙ্গের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলেও আসা স্থানীয়দের। নতুন এই সড়কে ঢাকা থেকে মাওয়া পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ২৮ মিনিট। গাড়ির গতিবেগ থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার।

পদ্মাসেতু চালু হলে এ মহাসড়ক দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীসহ পুরো দেশের যে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি হবে তার অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক সুফল দেশকে এগিয়ে নেবে অনেকাংশেই।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)