এনসিটিবির অনুমোদন বিহীন গাইড বই পাঠ্য তালিকায় অর্ন্তভূক্ত না করা সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ ৫ জনকে নোটিশ প্রদান

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় এনসিটিবি ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন বিহীন গাইড বই পাঠ্য তালিকায় অর্ন্তভূক্ত না করতে পারেন সে সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার এবং আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ ৫ জনকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের জনৈক আব্দুর রহিম কর্তৃক কমিশনার (অনুসন্ধান) দূর্নীতি দমন কমিশন, সেগুন বাগিচা, ঢাকা বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর দুদক কর্তৃক ০০.০১.০০০০.৫০৩.২৬.১১৭.১৯-৫৪৫৬, তারিখ ০৫-১২২০১৯ নং স্মারকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্বভার অর্পন করেন।

জেলা প্রশাসকের পক্ষে বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত ০৫.৪৪.৮৭০০.০২৩.০০২.০১.০০২.১৯-১৩০ নং স্মারকে তার কার্যালয়ে আগামী ১১ মার্চ বেলা ১১ টায় তাদেরকে সাক্ষ্য প্রমানাদিসহ যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। নোটিশে যাদেরকে হাজির থাকার জন্য বলা হয়েছে তারা হলেন জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, কালিগঞ্জের মডার্ণ বুক ডিপোর স্বত্ত্বাধিকারী আনজারুল ইসলাম ও অভিযোগ কারী আব্দুর রহিম।

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের মে মাসের আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা শিক্ষা অফিসের জেশিঅ/২০১৮/৬৪০৪ নং স্মারক মোতাবেক মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিকৃত করে রচিত নিম্নমানের গাইড বই (বিশেষ করে পাঞ্জেরী, স্কয়ার, অক্সফোর্ড প্রকাশনীর) বই বাজারজাত না করে শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। এরপর জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর তারিখে আবারো জেশিঅ/সাত/২০১৮/৬৮১৯ নং স্বারকে এনসিটিবি কর্তৃক অনুমোদনবিহীন নোট/গাইড বই মজুদ, বিক্রি বা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত না করতে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। চিঠিতে এই সংক্রান্ত বই যাতে শিক্ষকরা সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত না করতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়। যার সিদ্ধান্ত দেন জেলা প্রশাসন। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাঞ্জেরী প্রকাশনীর পঞ্জেরী ও অক্ষরপত্র বই বাজারজাত করায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজও প্রকাশিত হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)