জাসদের জাতীয় কাউন্সিল ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলের সফলতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ। বিবৃতিতে জাসদ নেতারা আগামী ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার ও শনিবার) অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলের সফলতা কামনা করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এই জাতীয় কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ, বিশ্বাস আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লস্কর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, সমাজসেবা সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পাপিয়া আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চত্বরে জাতীয় কাউন্সিলের উন্মুক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। কাউন্সিল উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
উন্মুক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্ধারিত কাউন্সিররগণ ছাড়াও দেশের সকল জেলা-উপজেলা থেকে কয়েক হাজার উৎসাহী নেতাকর্মী ও আমন্ত্রিত অতিথি অংশগ্রহণ করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে রুদ্ধদ্বার কক্ষে মূল কাউন্সিল অধিবেশন বসবে।
দুইটি অধিবেশনে বিভক্ত কাউন্সিলের প্রথম পর্বে বিদায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক উত্থাপিত খসড়া রাজনৈতিক-সাংগঠনিক রিপোর্ট, পরবর্তী তিন বছরের জন্য খসড়া রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা, কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক উত্থাপিত অডিট রিপোর্ট, ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র সংশোধনী উপ-কমিটি কর্তৃক উত্থাপিত ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের উপর আনীত সংশোধনী প্রস্তাবসমূহের উপর কাউন্সিলরগণ আলোচনা করবেন।
কাউন্সিলরগণের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসমূহ যুক্ত করে সাধারণ সম্পাদকের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক রিপোর্ট, পরবর্তী তিন বছরের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা, অডিট রিপোর্ট অনুমোদন এবং ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র হালনাগাদ করা হবে।
কাউন্সিলের দ্বিতীয় পর্বের অধিবেশনে কাউন্সিলরগণের প্রত্যক্ষ গোপন ব্যালটে পরবর্তী তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির বাকি পদগুলো, স্থায়ী কমিটির ১৫টি পদ, উপদেষ্টামন্ডলির পদগুলো পূরণ করে প্রস্তাব আকারে কাউন্সিলরগণের সামনে উপস্থাপন করবেন। কাউন্সিলরগণের মতামতের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি, স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টামন্ডলী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবেন।
কাউন্সিল অধিবেশনে নির্ধারিত সর্বমোট ১ হাজার ২০৫ জন কাউন্সিলর যোগদান করবেন। দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা এবং বিভিন্ন সেলের মধ্যে সদস্য সংখ্যার অনুপাতে কাউন্সিলর কোটা সংখ্যা বন্টন হবে।