ছেলেকে সুস্থ্য করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছে মা!
মায়ের বিলাপ আর ছেলের চোখের জলে মানবিকতার পাশের অসহায়ত্বের দেয়ালিকায় একটাই আবেদন, ‘মানুষই পারে অসুস্থ্য জাহিদকে সুস্থ করতে। সড়ক দূর্ঘটনায় পার (উরু) ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাওয়াই দীর্ঘ দুবছরেরও বেশি সময়ধরে গুরুত্বর আহত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে অন্যের আশ্রয়ে বসবাসরত জহির হাসানের ছেলে জাহিদ হোসেন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে তার চিকিৎসার খরচ জোগানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসা করতে করতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তবু সন্তান কে বাঁচাতে কে না চায়! সন্তানকে বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছে জাহিদের মা ফাতেমা খাতুন।
এবিষয়ে জাহিদের মা ফাতেমা খাতুন বলেন, বছর দুয়েক আগে জাহিদের রোজগারে সংসার চলতো তাদের। তবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদেরহাটে এক সড়ক দূর্ঘটনায় জাহিদের পায়ের (উরু) হাড় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। অর্থ অভাবে ছেলেকে সে সময় সুচিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় জাহিদের ডান পায়ের উরুতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। টুকটাক চিকিৎসা করালেও ক্ষতটি শুকিয়ে যায়নি বরং ভাঙ্গা হাড় গুলো ক্ষত দিয়ে বের হতে থাকে। অর্থ অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে না পারাই জাহিদ পঙ্গু হয়ে যায়! তবে জাহিদ আগে লাঠি ভর দিয়ে চলতে পারলেও বর্তমানে চলাফেরা করতে পারেনা। জাহিদের ক্ষত স্থান দিয়ে ভাঙ্গা হাড়ের টুকরা বের হতে থাকে। উপায় না পেয়ে জাহিদকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। ডাক্তাররা বলেছে এখন যদি অপারেশন করা না হয় তাহলে জাহিদের ক্ষত স্থানে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়ে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাহিদের অপারেশনের জন্যে বহুটাকা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ডাক্তাররা জাহিদের অপারেশনের জন্যে ৬টা স্ক্রু ও একটা রড কেনার কথা জানিয়েছে। এক একটা স্ক্রু ৩হাজার টাকা করে নিবে বলে জানিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, জাহিদকে সুস্থ্য করে তুলতে বহু টাকা প্রয়োজন। আমরাতো নিজ বাসভূমি ছেড়ে দু-মুঠো ভাতের জন্যে রাইচ মিলে কাজ করে খায়। যেখানে দু-মুঠো ভাত সেভাবে খেতে পারিনা সেখানে এতো টাকা কয় পাবো! একারণে ভিক্ষাবৃত্তি ভালোনা জেনেও একমাত্র ছেলেকে বাচাঁতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছি। ছেলেকে কেমনে বাঁচাবো! বাপজানগো আজ ভিক্ষা করতে না গেলে, কাল আমার পোলা না খেয়ে মরবে। যে ছেলে মুখে ভাত তুলে দিতো, সে ছেলে আজ হাসপাতালে। সবার হাত-পা ধরে ছেলেকে বাঁচানোর নিরওস চেষ্টা করছি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের কত বিত্তবান ব্যক্তি আছেন যারা এমন ক্ষেত্রে অহরহ খরচ করে চলেছেন গরীব ও দুঃস্থদের পিছনে।
তাই একটু বিনীত আবেদন আমার এই অসহায়ত্ব জীবনে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আমার সন্তানকে বাঁচাতে আপনারা এগিয়ে আসুন। সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে ছেলেকে সুস্থ করার জন্যে। সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি। সমাজের হৃদয়বান মানুষেরা জাহিদের চিকিৎসাসেবায় সহযোগীতা করতে তার মা ফাতেমা খাতুনের কন্টাক নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন:-
০১৪০৭ ১৮৫৯০২ ।