কালিগঞ্জে টিউবওয়েল বসাতে গিয়ে গ্যাসের সন্ধানঃ প্রশাসনসহ শতশত দর্শনার্থীর ভীড়
উপজেলার ভাড়াশিমলা বিলে টিউবওয়েল বসাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে। মিস্ত্রীগণ ১শ ৫ফুট পাইপ বসাতেই পানির ফোয়ারা বাহির হতে থাকে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বেলা ২ টা থেকে গ্যাসের চাপে প্রায় ১৫/২০ ফুট উচ্চতায় পানি বাহির হতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি এবং শতশত উৎসুক জনতা একনজর দেখতে ভীড় জামাতে থাকে।
জানাগেছে, উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের আবু বক্কর সরদারের পুত্র সুমন সরদারের ভাড়াশিমলা মৌজার ২ নম্বর সীটের জমিতে মৎস্য ঘেরের জন্য টিউবওয়েলের বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এসময় ৯৫ ফুট বসানোর সময় গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। জমির মালিক ও মিস্ত্রীসহ স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে বালির বস্তা ও মাটি ফেলে গ্যাস উঠানো মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালায়। তবে কোন অবস্থাতেই গ্যাস উত্তোলন বন্ধ না হওয়া এখবরটি উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংবাদ কর্মীরাদের সংবাদ দেন।
জমির মালিক আবু বক্কর জানান, তিনবিঘা জমির উপর ডেপু মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করেন পাশাপাশি পানি উত্তোলনের জন্য শ্যালো মেশিন বসানোর পাইপ বসানোর সময় মাটির নিচে সম্ভবত ৯৫ ফুট গভীরে নলকুপ বসানোর সময় হঠাৎ পাইপ দিয়ে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় এদিকে গ্যাস উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে আশেপাশের এলাকা থেকে প্রচুর জনসাধারণ ভিড় জমায় গ্যাস বাহির হওয়ার দৃশ্যটি দেখার জন্য সংবাদ পেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন, ওসি (তদন্ত) আজিজুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী , উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অমল কুমার রায়, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান, প্রশাসনে অন্যান্য কর্মকর্তা কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি নিয়াজ কওছার তুহিন, সহ সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্ছু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, তথ্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম আহমদ উলাহ বাচ্চু, ইউপি সদস্য শামসুর রহমান, জমির মালিক আবুবক্কার সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ সহ শত শত উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল জানান, গ্যাস বাহির হওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উচ্চ পর্যায়ের পরীক্ষা টিম নিয়ে আসা হবে, বর্তমান যে স্থানে গ্যাস বাহির হচ্ছে তার চারিপাশে লাল ফিতা দিয়ে চিহ্নিত করে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাটি কাটা ভেকু মেশিন দিয়ে পাইপ উঠানো মাটি ও বালি চাপা কাজ করছিল। তবে গ্যাস বাহির হওয়া অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তদারকি করা হচ্ছে।