ভালোবাসা দিবস নিয়ে কিছু কথা
দরজায় কড়া নাড়ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। বছর ঘুরে আবার আসবে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটিকে বিবেচনা করেই বিশ্ব প্রেমিকরা আয়োজন করছে তাদের ভালাবাসা দিবসের কর্মপরিকল্পনা। তবে এনিয়ে আবার চিন্তিতও কেউ কেউ। বিশেষ করে যাদের ভালবাসার কথা এখনও জানেনা তাদের পরিবারের সদস্যরা। আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে এই ভালোবাসা দিবসটি কিভাবে কাটাবেন ভেবে রেখেছেন তো? যদি না ভেবে থাকেন তাহলে এখনই পরিকল্পনা করে ফেলুন ভালোবাসা দিবসের। না ছবির প্রেমিক-প্রেমিকার মত করে নয়। আপনার ভালবাসা দিবসটাকে আপনি সাজিয়ে নিন নিজের মত করেই।
জেনে নিন প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ভালোবাসা দিবসে কিছু টিপস।
এক গুচ্ছ লাল গোলাপ: ফুল দিয়ে ভালোবাসার কথা জানানোর পদ্ধতিটা পুরানো হলেও এর আবেদন কখনোই কমবে না। তাই ভালোবাসা দিবসে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ দিয়ে প্রিয় মানুষকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিতে পারেন। প্রতিটি ফুলে ভালোবাসার কথা লিখে উপহার দিন প্রিয়জনকে।
কিছু একটা গিফট করুন: কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অফিসের জন্য তো কত প্রেজেন্টেশনই করেছেন। এবার প্রিয় মানুষটির জন্য সুন্দর করে একটি প্রেজেন্টেশন বানিয়ে ফেলুন। ভালোবাসার কিছু কথা এবং দুজনের কিছু ছবিও দিন সেটাতে। এরপর সেটাকে সিডি কিংবা ডিভিডিতে রাইট করে তাঁকে উপহার দিন এবং দেখতে বলুন। কিংবা বন্ধুদের মাঝে বেশ আয়োজন করে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও করতে পারেন। আপনার ভালোবাসা প্রকাশের এই পদ্ধতি দেখে আপনার প্রিয় মানুষটির মন ছুঁয়ে যাবে।
বিশেষ একটি কেক: ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে নিশ্চয়ই দেখা করবেন? একটি হার্ট শেপ কেক কিনে নিয়ে যান তার কাছে। কেকের উপর লিখে জানিয়ে দিন তাঁকে ভালোবাসার কথা গুলো। খুব ভালো হয় যদি কেকটি তৈরি করেন নিজের হাতে, কিংবা বিসেশভাবে অর্ডার দিয়ে তার পছন্দের রঙ কিংবা প্রিয় মুহূর্তের ছবি দিয়ে। আপনার এই প্রেম নিবেদন অব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
গানে গানে ভালবাসা: আপনি গান গাইতে পারেন? কিংবা গিটার? যদি গান পেরে থাকেন তাহলে প্রিয় মানুষটিকে একটি সুন্দর ভালোবাসার গান গেয়ে শুনিয়ে দিন। তাঁকে বলুন যে গানের কথা গুলো আপনি তাঁকে উৎসর্গ করেছেন। আর যদি আপনি গান গাইতে না পারলে রেডিও তে কিংবা মোবাইলের ওয়েলকাম টিউনের সাহায্যেও প্রকাশ করতে পারেন ভালোবাসা।
প্রিয় মানুষের পছন্দের খাবার রাঁধুন: খাবার মানুষের মনের উপর প্রভাব ফেলে। ভালো খাবার খেলে কিংবা পছন্দের খাবার খেলে মানুষের মনে একধরনের ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। তাই এই ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষটির পছন্দের খাবার রেঁধে চমকে দিতে পারেন তাকে। আর যদি রান্না বান্না না পারেন তাহলে প্রিয় মানুষটির পছন্দের খাবার কিনে তার কাছে নিয়ে চমকে দিন।
ক্যান্ডেল লাইট ডিনার: ভালোবাসা দিবসে সময় কাটানোর সব চাইতে ভালো উপায় হতে পারে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। মোমের আলোয় একে অপরের সঙ্গে গল্প করে বেশ খানিকটা সুন্দর সময় কাটিয়ে দিতে পারেন। আলো আঁধারি পরিবেশে দুজন দুজনের হাত ধরে মজার মজার খাবার খেয়ে স্মরণীয় করে রাখুন এইবারের ভালোবাসা দিবসটিকে।
মিউজিক্যাল কার্ড: উপহারের দোকান গুলোতে নানান রকমের কার্ড পাওয়া যায়। যেই কার্ডের সঙ্গে আপনার মনের কথা গুলো মিলে যায় সেটাতেই ভালোবাসার কথা লিখে প্রিয় মানুষটিকে উপহার দিন। দিতে পারেন মিউজিক্যাল কার্ড। অনেক কার্ড পাওয়া যায় যেগুলোতে নিজের আওয়াজ রেকর্ড করে যায়। এমন কার্ড কিনে নিজের কণ্ঠে ভালোবাসার কথা লিখে উপহার দিন মানুষটিকে।
দূরে কোথাও বেড়াতে যান: এই ভালোবাসা দিবসটাকে সারা জীবন মনে করে রাখতে চাইলে ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসুন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর রাতটা কাটিয়ে দিন সাগরের পারে অথবা পাহাড়ের চুড়ায়। সেই সঙ্গে তুলে ফেলুন সুন্দর মূহূর্ত গুলোর কিছু ছবি।
পুরো ঘর সাজিয়ে ফেলুন: ভালোবাসা দিবসে পুরো ঘরটাকে ভরিয়ে দিতে পারেন ভালোবাসায়। আপনার প্রিয় মানুষটি ঘরে ঢোকার আগেই পুরো ঘরে হার্ট বেলুন, কাগজের হার্ট, ফুলের পাপড়ি দিয়ে আকা হার্ট দিয়ে ঘর বাড়ি ভরিয়ে দিন ভালোবাসায়। ঘরে সুগন্ধি মোম বাতি জ্বালিয়ে দিন। অন্য সব আলো নিভিয়ে রাখুন। আপনার ঘরে ভালোবাসাময় একটি স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা দেখে আপনার ভালোবাসার মানুষটি মুগ্ধ হয়ে যাবে।
কাছেরমানুষদেরনিয়েপার্টিআয়োজন: ভালোবাসাদিবসটাকিশুধুইদুজনের? এইভালোবাসাদিবসটাকেএকটুভিন্নভাবেপালনকরলেকেমনহয়? এবারেরভালোবাসাদিবসটাপালনকরতেপারেনবন্ধুবান্ধবওআত্মীয়স্বজনদেরকেনিয়ে।ভালোবাসাদিবসেএকটিবড়পার্টিআয়োজনকরতেপারেন।বড়একটিহার্টআকৃতিরকেকরাখুন।কাছেরমানুষদেরকেজোড়ায়জোড়ায়নিমন্ত্রণকরুন।প্রিয়মানুষগুলোরসঙ্গেনাচে-গানেমাতিয়েতুলুনভালোবাসাদিবসেরদিনটি।
নিজের হাতে লেখা ছোট্ট একটি চিরকুট: প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে ছোট ছোট চিরকুট লিখুন। এরপর সেগুলো তার বইয়ের পাতার ফাঁকে, ডায়রিতে, কফির কাপের নিচে, টিফিন বক্সে কিংবা অন্য কোথাও রেখে দিন যেখানে তার চোখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। হঠাৎ করে ভালোবাসার কথা লেখা এই চিরকুট পেয়ে প্রিয় মানুষটি মুগ্ধ হবেই। আজকাল যেহেতু হাতে লেখার প্রচলন প্রায় উঠেই গেছে, তাই এটা নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে তার।