কালিগঞ্জে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৪ ফেব্রুয়ারী বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় করোনা ভাইরাস বিষয়ে উপজেলা বাসিকে সচেতন করার জন্য জোরালো ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়াম্যানগণ মাইকিং ব্যবস্থা করবেন, উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা কলেজ, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবতেদায়ী মাদ্রাসায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার জরুরী চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাস বিষয়কে সতর্ক ও এ্যালকোহাল বেইজ স্যাভনীল দিয়ে হাত পরিস্কার রাখা, উপজেলার সকল কসাইখানা ও পোল্ট্রি মুরগীর খামার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা সেনেটারী ইন্সেপেক্টর জরুরী ভিত্তিতে চিঠি দিয়ে সচেতন করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গৃহীত কর্মসূচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেসবুকে প্রচার ও উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের মিডিয়ায় প্রচারের অনুরোধ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপালী রানী ঘোষ, কালিগঞ্জ হাসপাতালের ডাঃ মোয়াজ আব্রহা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার মন্ডল, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ কওছার তুহিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অমল কুমার রায়, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, বিষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন প্রমুখ।
করোনা ভাইরাস চীনের উহানে প্রদেশে করোনা ভাইরাস জড়িয়ে পড়ে। এই রোগের লক্ষণ জ্বর, কাশি, সর্দ্দি, গলায়, ব্যাথা। প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হাত সেভনীল হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে। গণপরিবহন ও গণজমায়েতে মুখে মার্কস ব্যবহার করতে হবে। গলা শুকনা রাখলে হবে ঘন্টায় ঘন্টায় পানি খেতে হবে।