মুজিববর্ষে ৬৮ হাজার দরিদ্র পরিবার পাবে পাকা বাড়ি

দেশের ৬৮ হাজার ৩৮টি গ্রামে একটি করে দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারকে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেবে সরকার। প্রতিটি বাড়ি তৈরি করতে খরচ হবে  ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

চলতি ও আগামী অর্থবছর এসব বাড়ি নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দুই বছরে বরাদ্দ প্রয়োজন ২ হাজার ৪০ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮০ টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, সারাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদী ভাঙনের শিকার, হতদরিদ্র, সহায় সম্বলহীন, ভূমিহীন ও প্রান্তিক পর্যায়ের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য এসব বাড়ি নির্মাণ করা হবে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে।

গত সপ্তাহে অর্থ বিভাগে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, দেশের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে কমে আসছে। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের স্বার্থে প্রতি গ্রামে গৃহহীন একটি করে পরিবারকে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। এতে বাড়ি প্রতি খরচ হবে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬ টাকা।

এ বিষয়ে মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

সূত্র জানায়, চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দ বাতিল করে ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণ খাতে ৮৯৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা স্থানান্তরের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এ প্রস্তাবে বলা হয়, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬৮ হাজার ৩৮টি গ্রামে একটি করে মোট ৬৮ হাজার ৩৮টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

ওই মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সচিব বলেন, এরইমধ্যে টিআর-কাবিটা কর্মসূচির বিশেষ খাতের অর্থ দিয়ে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসকল্পে গৃহহীন পরিবারের মাঝে দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সহজ হবে।

এ প্রসঙ্গে সভায় অতিরিক্ত সচিব (ত্রাণ) বলেন, দেশে অতি দরিদ্রতার হার যখন ক্রমশ নিম্নমুখী তখন ভিজিএফের সাহায্য ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে হবে, যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী করবে এবং আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদাশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)