এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি

পিছিয়ে গেল ২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর তারিখ। ১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা।

শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের ডেইলি বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবুল খায়ের বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন।

এদিকে, সরস্বতী পূজার কারণে দাবির মুখে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি এ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কারণেই মূলত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। পরীক্ষার জন্য আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

এছাড়া পরীক্ষা নকলমুক্ত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গতবারের মতো এবারও যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়, সে ব্যাপারে  মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থায় থাকবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১০ লাখ ২২ হাজার ৩৩৬ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গত বছর সারাদেশে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩। সে তুলনায় এবার ৮৭ হাজার ৫৫৪ জন পরীক্ষার্থী কমে গেছে। তার মধ্যে ৪৬ হাজার ৭৮ জন ছাত্র ও ৪১ হাজার ৪৭৬ জন ছাত্রী। এবার সারাদেশে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে মোট ২৮ হাজার ৮৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।

এ সময় আরো জানানো হয়, গত বছরের তুলনায় এবার মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২টি ও কোট কেন্দ্র ১৫টি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৮ ও অনিয়মিত ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩২৫, বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (১ থেকে ৪ বিষয়ে ফেল) ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৪ এবং বিদেশি ৮টি কেন্দ্রে মোট ৩৪২ জন এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বারের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে তার বিস্তারিত তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে। ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এমএমএসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।

তিনি আরো বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় ও ইংরেজি প্রথম এবং দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাতে হবে।

সূএ-ডেইলি বাংলাদেশ

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)