অবশেষে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছে শ্যামনগরের ৪ জেলে
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কচুখালী খাল থেকে অপহৃত ৪ জেলে অবশেষে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরেছে। রোববার তারা বাড়িতে ফিরে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এদিকে, মুক্তিপণ দিতে দেরী হওয়ায় বনদস্যু জিয়া বাহিনীর সদস্যরা তাদের ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।
মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা জেলেরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি খাসখামার গ্রামের আব্দুল্লাহ খোকনের ছেলে মিয়ারাজ হোসেন (৩৫), একই এলাকার সাদেক গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম(২৬), গাবুরা নাপিতখালী গ্রামের মোমিন হাওলাদারের ছেলে কবির (২৬) ও একই এলাকার সিরাজুল হালদারের ছেলে রিপন হাওলাদার (২৬)।
ফিরে আসা জেলেরা জানান, আবু সালেহ কোম্পানি নামীয় একটি প্রতিষ্ঠানের জেলে শ্রমিক হিসেবে কোবাতক ও কৈখালী ষ্টেশন থেকে তারা বৈধ পাশ নিয়ে ছয়টি নৌকায় ১২ জন জেলে সুন্দরবনে যায় মাছ শিকার করতে। একপর্যায়ে গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদী সংলগ্ন কচুখালী খাল থেকে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিতে উক্ত চার জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু জিয়া বাহিনীর সদস্যরা। তারা এ সময় তিন দিনের মধ্যে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ দিতে দেরী হওয়ায় বনদস্যুরা তাদের হাত পা বেঁধে গরানের কাঠ দিয়ে পায়ের তালুসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতন চালায় বলে জানান ফিরে আসা জেলেরা।
তারা আরো জানান, সুন্দরবনে তারা নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের অভিভাবকরা শ্যামনগর থানায় গত ১৮ জানুয়ারি সকালে একটি জিডি করেন। যার নং-৮০৪/২০২০।
রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন ও গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, ফিরে আসা জেলেরা বনদস্যুদের নির্যাতনে স্বাভাবিক হাটা চলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় তাদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।