আশাশুনিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
আশাশুনি পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী রনি হোসেনের বিরুদ্ধে মিটার দেওয়ার নাম করে গ্রাহকদের কাছথেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) প্রতিকার প্রার্থনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ফটিকখালী ও দেয়াবর্ষীয়া গ্রামের সুশংকর গাইন, রিপন ম-ল, নিরঞ্জন গাইন ও প্রভাস গাইন বাদী হয়ে দায়েরকৃত অভিযোগে জানাগেছে, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এলাকার ১৯৫ পরিবারের মানুষ মিটার বাবদ ৪ শত টাকা করে জমা দেন। গত ১ ডিসেম্বর ফটিকখালী গ্রামের ১৭৫ বাড়ীতে মিটার সংযোগ দেওয়া হয়। বাকী ২০ টি পরিবার মিটার বঞ্চিত থাকেন। এক মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তারা মিটার না পেয়ে কর্মচারী রনি হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি মিটার প্রতি আরও একশ টাকা করে দাবি করেন। টাকা না দিলে মিটার সংযোগ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া রনি ফটিকখালী গ্রামের রাজেন্দ্র সরকারের ছেলে কমলেশ সরকারের কাছ থেকে মিটার বাবদ ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আশাশুনি আঞ্চলিক পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বিষয়টি অবহিত করেও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হতাশ বিদ্যুৎ বঞ্চিত পারিবারগুলো। বাধ্য হয়ে তারা দ্রুত সমাধানের আশায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পল্লীবিদ্যুতের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি জানার পর ওদেরকে ভাউসার অফিসে জমা দিতে বলেছিলাম। পারিবারিক সমস্যার কারণে ছুটিতে আছি, ফিরে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।