ক্ষেপণাস্ত্রে বিমান বিধ্বস্ত, ইরানের স্বীকারোক্তি
তেহরানের ইমাম খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বুধবার উড্ডয়নের তিন মিনিট পর ইরানের সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রই ইউক্রেনের বিমানটি ভূপাতিত করে। শনিবার সকালে এক বিবৃতিতে জেনারেল স্টাফ এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, তারা ভুল করে শত্রুর জঙ্গিবিমান ভেবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বিমানটি ভূপাতিত করেছিল।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে এই উপসংহারে আসা গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের হঠকারিতার কারণে তৈরি সংকটকালীন সময়ে ‘মানবিক ভুলের’ কারণে এই বিপর্যয়। আমাদের জনগণ, ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবার এবং অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থ জাতির প্রতি আমাদের গভীর অনুশোচনা, ক্ষমা ও শোক প্রকাশ করছি।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, বিমানটিতে থাকা অধিকাংশ আরোহীই ইরানি এবং ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক। নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডিয়ান, ১০ জন সুইডেনের, চারজন আফগানিস্তানের, তিনজন জার্মানির এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অপরদিকে নয় ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইরান বলছে, মানবীয় ভুলের কারণেই ১৭৬ আরোহীর সবাইকে নিয়ে ওই ইউক্রেনীয় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল যে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই এর কারণ। তখন ইরানের কর্মকর্তারা তা আড়াল করে উল্টো দাবি করেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।