সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় কুরবান মেম্বার ও তার দুই পুত্রের জামিন না মঞ্জুর
সংবাদ কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে কুরবান মেম্বার ও তার দুই পুত্রকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে সাতক্ষীরার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সরকারি রাস্তার পাশের ক্ষতিগ্রস্ত গাছ কাটার দোহাই দিয়ে বেশ কিছু ভাল গাছ কাটছিল সাতক্ষীরা সদরের নুনগোলা গ্রামের মৃত. আব্দুল মালেক বৈদ্যর ছেলে ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার কুরবান আলী ও তার লোকজন।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা বন বিভাগ অফিসের ফরেস্টর জি,এম মারুফ বিল্লাহ ও ধুলিহর ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তা মাসুমা সুলতানার নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যায়। এসব ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে সেখানে হাজির হয় দৈনিক সাতনদীর মফস্বল সম্পাদক ও সাতক্ষীরা সদরের বড়খামার গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ গাজীর পুত্র রেজাউল করিম মিঠুসহ কয়েকজন সাংবাদিক।
সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে কুরবান মেম্বরের নেতৃত্বে বাঁধা প্রদান করে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের উপর চড়া হয়ে ধাওয়া করে।
আত্ম-রক্ষার্থে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক রেজাউল করিম মিঠুর ভাই আব্দুর রহিম বাবুকে কোরবান মেম্বারের নেতৃত্বে তার ছেলে বাবু ও ইয়াছিন আরাফাত, সহযোগী ওই এলাকার মহব্বত আলীর ছেলে ইবাদুল, শহিদুল, মকবুল ও মৃত. মনির উদ্দীন কারিগরের ছেলে মহব্বত আলী হামলা চালিয়ে মারপিট ও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। বাবুকে ঠেকাতে গিয়ে এশার আলী ও আজহারুল ইসলাম নামের দুই যুবকও তাদের মারপিটে আহত হয়।
সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দৈনিক সাতনদীর মফস্বল বার্তা সম্পাদক রেজাউল করিম মিঠু বাদী হয়ে সাতক্ষীরা থানায় মেম্বার কুরবান সহ ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৭৪, তাং ২৫/১১/২০১৯ ইং।
এই মামলায় সকল আসামীরা হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় আসে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এই জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান জামিন শুনানি শেষে কুরবান মেম্বার, তার দুই পুত্র বাবু ও ইয়াছিন আরাফাতের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। এছাড়া ইবাদুল, শহিদুল, মকবুল ও মহব্বত আলীকে চার্জশীট পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে।