কলারোয়ায় ৩১ হাজার ৭শ’র অধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আগামী ১১ জানুয়ারি ৩১ হাজার ৭০০শত ৩২জনের অধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ওই সভার আয়োজন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এর স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-ডাঃ বেলাল হোসেন, ডাঃ ফাহদী আল মাসুদ, উপজেলা ফ্যামিলি প্লানিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা এমটিইপিআই রেজোয়ান উল্ল্যা ও কলারোয়া পৌর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জুলফিকার আলী প্রমুখ।
সভায় উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সকল কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এবছর কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৬ হতে ১১ মাস বয়সী ও ১২ হতে ৫৯ মাস বয়সী ৩১ হাজার ৭০০শত ৩২জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষে আগামী ১১ জানুয়ারি দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। ঐ দিন সকাল আটটা হতে বিকাল চারটা পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি কলারোয়া বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমুহে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকবে। ছয় হতে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে অসুস্থ শিশু ও বিগত চার মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন এ অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মূলের পাশাপাশি শিশুকে দীর্ঘ মেয়াদি ডায়রিয়া, রাতকানা হতে রক্ষা করে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি ২৪ শতাংশ কমায়। শিশুকে হাম ও মারাত্মক অপুষ্টি হতে দূরে রাখে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।