শীতের মধ্যেই আসছে বৃষ্টি
তীব্র শীত সঙ্গে নিয়েই দেশে এলো পৌষ। শৈত্যপ্রবাহ আর ঘনকুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। এর মাঝেই জানা গেল, চলতি সপ্তাহের শেষে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ এমনটাই জানালেন।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববারের পর থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে শীতের তীব্রতা খুব একটা কমবে না।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ কারণে বলা যেতে পারে মৃদু শৈত্য প্রবাহ আর নেই। আগামীকাল তাপমাত্রার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তবে শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবারের দিকে সূর্যের আলো দেখা যেতে পারে। তখন সূর্যের আলোয় বাড়বে তাপমাত্রা। শীতের কষ্ট কমে আসবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, শনিবার সারা দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ফরিদপুরে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পার্শ্ববর্তী মাদারীপুরে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, গোপালগঞ্জে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ঢাকায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি, টাঙ্গাইলে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১৩ ডিগ্রি, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং নেত্রকোনায় ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধির আভাস দেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, মাসের শেষে তাপমাত্রা বাড়লেও বছর শুরু হবে মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে।