তালার খলিষখালীতে খালের অবৈধ দখলদারীদের উচ্ছেদের দাবীতে ভূমি অফিসে কৃষকদের বিক্ষোভ
অবৈধ সরকারি খাল দখল করে অবৈধ ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ করে মৎস্য চাষ করে খলিষখালীর পাকশিয়ার ২১শ বিঘা জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে আসন্ন ইরি মৌসুম আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এলাকার অবৈধ দখলদারিদের নেট-পাটা অপসরণ ও উচ্ছেদের দাবীতে এলকার কয়েক শত কৃষক খলিষখালী ভূমি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে আজ। গত ৭ দিনেও জেলা প্রশাসকের নির্দেশ উপেক্ষিত হয় বলে এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ।
এলাকাবাসী জানায়, তালা উপজেলার খলিষখালী মৌজায় পাকশিয়া গ্রামে ৪০৯৯, ৪১০৯, ১৬৪৮, ১৬৯৫ দাগের বারানগর গ্রামের কালিপদ মন্ডলের ছেলে প্রদ্বীপ মন্ডল, টিকারামপুর গ্রামের আমীর সরদারের ছেলে মিনারুল সরদার, বয়ারডাংগা গ্রামের বীরেন্দ মণ্ডলের ছেলে নির্মল মন্ডল একই গ্রামের মোহর আলী মোড়লের ছেলে হেকমত মোড়লগণরা অবৈধ ভেড়ি বাঁধ ও নেট পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছে। ফলে ইরি মৌসুমের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। গত ১ সপ্তাহ আগে কৃষকরা এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক এর বরাবর একটি আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবৈধ দখলদারিদের উচ্ছেদ এর জন্য খলিষখলী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
কৃষক নেতা আব্দুল মজিদ গোলদার জানান, জেলা ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশের পরেও খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অরুণ কুমার পাল নির্দেশ পালন করতে ব্যর্থ হয়। ফলে আসন্ন ইরি মৌসুমে বীজতলা তৈরী করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার কৃষকরা। এ কারণে রোববার অবৈধ দখলদারিদের উচ্ছেদের দাবীতে খলিষখালী ভূমি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে এলাকার শত শত কৃষক। এ সময় খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সেখানে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় তিনি খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন ও কৃষকদের অশ্বত্ব করেন।
বিষয়টি নিয়ে খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার অরুণ কুমার পালের কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে জানান, দখলদারীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমি ব্যর্থ হওয়ায়,আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তারা পরবর্তী নির্দেশ প্রদান করলে আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এমতাবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসনের ও অবৈধ দখল দারীদের উচ্ছেদের জন্য এলাকা বাসী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।