সবচেয়ে বেশি শীত ঢাকায়, সঙ্গে কুয়াশার বৃষ্টি
রাজধানীতে শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। হঠাৎ চলে আসা ঠান্ডার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা। তবে শৈতপ্রবাহের কারণে দেশের বেশিরভাগ জেলায় তাপমাত্রা কমেছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কয়েকদিন ধরে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য সবচেয়ে কম ঢাকাতেই।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন, রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য তথা সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্য যত কমে ঠান্ডা অনুভূতি তত বাড়বে। ঢাকাতেই এই পার্থক্য সবচেয়ে কম। কখনো কখনো ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও হাড় কাঁপুনি ঠান্ডা পড়ে, আবার অনেক সময় ৮ ডিগ্রিতেও তেমন ঠান্ডা অনুভূত হয় না।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় রাতে ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও দিনে ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ রাজধানীতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্য নেমে এসেছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিকে রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়ায় শুক্রবার সকাল ১০ টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। বরং ভোর থেকে কুয়াশা পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো।
আবহাওয়া অধিদফতরের সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়- ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই জেলায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গে ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে শৈত প্রবাহ বয়ে গেলেও ঢাকার চেয়ে ঠান্ডা পড়ছে কম। এসব অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ছে বা শীত অনুভূত হচ্ছে রংপুরে।
উত্তরের কনকনে হিম বাতাসে দিনের তাপমাত্রা কমিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থা বিরাজ করবে আগামী রোববার পর্যন্ত। তবে ঢাকার পরিস্থিতি শনিবার নাগাদ উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন।