হাড় কাপানো শীত দূর করবে পাঁচ উপায়
কর্মব্যস্ত মানুষের তো আর লেপ-কম্বলের নিচে শুয়ে-বসে থাকার জোঁ নেই! যতই শীত পড়ুক সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে লেপের সঙ্গ ত্যাগ করতেই হয়। তবে এই শীতের কাঁপুনিতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আবার গোসল করলে ঠাণ্ডা বেশি লাগবে এটা খুব ভুল একটি ধারণা। এই ভয়ে অনেকেই শীতে গোসলকে ভয় পান। গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। তোয়ালেকে হেয়ার ড্রায়ার কিংবা চুলার উপরে ধরে গরম করে নিন। দেখবেন ঠাণ্ডা কোথায় পালাবে! এমনই কয়েকটি টিপস জেনে নিন যা আপনাকে শীত থেকে রেহাই দিবে-
লেপ-কম্বলের তল থেকে বেরিয়ে আসুন
আপনি যত লেপ-কম্বলের নিচে শুয়ে-বসে থাকবেন শীত ততই আপনাকে পেয়ে বসবে। লেপের নিচ থেকে বেরিয়ে আসতে বেশী শীত লাগলে রাতে গরম কাপড় পরেই ঘুমোতে যান। একজোড়া মোজা অবশ্যই পরবেন এতে সকালে উঠে লেপের নিচ থেকে বের হলে বেশী শীত লাগবে না। শীত লাগা কমাতে চাইলে একটু কষ্ট করে লেপের তল থেকে বেরিয়ে আসুন।
শারীরিক ব্যায়াম করুন
যদি জগিং বা দৌড়নোর সময় বা সুযোগ না থাকে তবে সকালের শীত দূর করতে চাইলে ঘুম থেকে উঠে শারীরিক ব্যায়াম করুন। ১০-১৫ মিনিট ব্যায়াম করে নিন। এতে শীত তো দূর হবেই পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
গোসল করুন
শীতকালে গোসল করাকে সবাই অনেক ভয় পান। ঠাণ্ডা বেড়ে যায় বলে একটি ভুল ধারণা থেকেই এই ভয়ের জন্ম। গোসল করলে ঠাণ্ডা বাড়ে না বরং অনেক কমে যায়। গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। আর ব্যবহারের তোয়ালে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে কিংবা চুলোর ওপর সেঁকে খানিকটা গরম করে নিতে পারেন। এতে করে ঠাণ্ডা ভাব আরো কমে যাবে।
দেহ গরম করে এমন খাবার খান
শীতকালে শরীর গরম করে এমন খাবার খাওয়া বেশ ভালো শীত কমাতে। চা, কফি ও স্যুপ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে চা কফি খুব বেশি পান করবেন না। এর পরিবর্তে হট চকোলেট খেতে পারেন বা অন্যান্য গরম পানীয় পান করতে পারেন। খাবারের মধ্যে মোটামুটি ঝাল মশলা জাতীয় খাবার খাবেন। কারণ ঝাল ও মশলা শরীর গরম করতে বেশ সহায়ক। আদা শরীর গরম করতে বেশ কার্যকরী। যেকোনো খাবারে সামান্য আদা যোগ করে শরীর গরম রাখতে পারবেন।
সঠিক গরম কাপড় পড়ুন
গরম কাপড় নির্বাচনে কোনো ভুল করবেন না। কারণ শীত দূর করার জন্য শীতের কাপড় অবশ্যই দরকার। জ্যাকেট, সোয়েটার, হাত মোজা, পা মোজা, মাফলার ও কান টুপি সবই শীতের কাঁপুনি দূর করতে প্রয়োজন। বিশেষ করে যখন আপনি বাইরে বেরোতে যাবেন। শীতকালে জুতো নির্বাচনে অবশ্যই ঢাকা জুতো বা বুট জুতো রাখবেন। শীতের জন্য আটঘাট বেধেই নামুন। শীত ঠিকই পালাবে।