ফের ভাগ হওয়া শঙ্কায় ভারত
ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের প্রতিবাদে দেশটির রাজ্যে রাজ্যে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। মুসলমানদের অধিকার হরণ করতেই বিজেপি সরকার এ বিল পাস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশটির বিরোধীদলগুলো বলছে, ভারতকে নতুন করে ভাগ করতেই বিলটি আনা হয়েছে। এর ফলে ভারত নতুন করে ভাগ হবে। তবে বিজেপির দাবি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয় বলেই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে তাদের।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আসামে তুমুল বিক্ষোভ হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ। ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও। বিক্ষোভ হয়েছে ত্রিপুরা, হায়দ্রাবাদসহ অন্য রাজ্যগুলোতেও।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘ভারত অসাম্প্রদায়িক দেশ। কেন আমরা এ বিলের মাধ্যমে বিভাজন করবো? কেন বের করে দেবো এখানকার মুসলিম বসবাসকারীদের? মানুষের ভালো চাকরি নেই। খাওয়ার জন্য খাদ্য নেই, তাদের জন্য কিছু করুন। গরিব মানুষকে বিদেশি তকমা দিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় ফেলবেন না।’
বিলটির নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বিলটির বিরোধিতা করে কংগ্রেস নেতারা বলছেন, এটি রুখতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন তারা। আর ভারতের মুসলিম নেতারাও সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে ক্ষমতাসীন বিজেপির দাবি, শিবসেনাসহ অধিকাংশ দল তাদের পক্ষে রয়েছে, উল্টো কংগ্রেস ভারতে বিক্ষোভ উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে।
লোকসভায় পাস হওয়া বিলটির পরবর্তী গন্তব্য রাজ্যসভা। সেখানে পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া কেবল মুসলিম বাদে অন্য ধর্মের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
সূএ : বাংলাদেশ টুডে