দ্রুত ওজন কমাতে পাতে রাখুন এসব মশলা
সুন্দর মেদহীন শরীর কে না চায়! ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে বেশিরভাগ রোগই দূরে পালায়! শরীরের ওজন যদি খুব বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেয়। অনেক চেষ্টা করে, জিম গিয়ে এবং ডায়েট নিয়ন্ত্রণ করেও অনেক সময় মেদ কমতে চায় না। তবে নিয়মিত কয়েকটি মশলা খেতে পারলে ওজন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব-
প্রতিদিনের রান্নায় আমরা অনেক রকম মসলা ব্যবহার করি। মসলা যে শুধু আমাদের খাবারের স্বাদ আর গন্ধই বাড়ায়,তা কিন্তু না। আমাদের ব্যবহৃত এসব মসলাগুলোতে রয়েছে বিস্ময়কর ওষধি গুণ। যা আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মেটাবলিজম বাড়ায়। এছাড়াও শরীরের বাড়তি মেদ কমাতেও দারুণ ভূমিকা রাখে। তবে জেনে নিন কোন কোন মসলা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে-
আদা
শুধু সর্দি-কাশিতেই যে আদা উপকারি, তা কিন্তু নয়! এতে রয়েছে আরো অনেক ওষধিগুণ। পেট পরিষ্কার করতে এবং পাচনতন্ত্রে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করতে খুবই কার্যকরী। এর ফলে ফ্যাট জমতে পারে না। ফ্যাট না জমলে ওজন এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া আদার রস শরীরের জমে থাকা চর্বিও দূর করে।
হলুদ
প্রায় প্রতিটি খাবারেই আমরা হলুদ ব্যবহার করে থাকি। এটি রান্নার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সাহায্য করে। হলুদের একটি বিশেষ গুণ হলো, এটি শরীরে ফ্যাট টিস্যু তৈরি হতে দেয় না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কাঁচা মরিচ
কাঁচা মরিচে রয়েছে কিউনিক অ্যাসিড, অ্যাকজেলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড প্রভৃতি। এর সবগুলোই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর কাঁচা মরিচের ক্যাপসিসিন ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণ করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাঁচা মরিচ বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে অতিরিক্ত ক্যালরি কমিয়ে দেয়।
দারুচিনি
ওজন কমাতে দারুচিনি অত্যন্ত কার্যকরী! নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে দারুচিনি খেতে পারেন। এতে আপনার ক্ষুধা কমবে। এমনকি শরীরের জমে থাকা মেদ গলাতেও সাহায্য করে। এটি শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও পেটের রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টায়ফয়েড, টিবি ও ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুচিনি অত্যন্ত কার্যকরী।
এলাচ
এলাচে রয়েছে নানা রকম রাসায়নিক উপাদান। যেমন: টর্পিন, টপিনিনোল, সিনিওল, এসিটেট, টপিনিল ইত্যাদি। এসব উপাদান শরীরের মেদ কমানোর ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শরীরে মেদ জমতে পারে না।
মৌরি
মৌরি খেলে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে যায়। সেই সঙ্গে পাচনতন্ত্রের উপকার করে। এটি লিভারের ক্ষেত্রেও খুব উপকারী। মৌরি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও অত্যন্ত কার্যকরী।