সাতক্ষীরায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন

পরীক্ষায় নামমাত্র অংশ গ্রহণ করেই ঘুষের মাধ্যমে অনেককে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। রাস্তায় চলছে ফিরটেসবিহীন গাড়ি। বিআরটিএ অফিসে দালালদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ গাড়ির নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইনসিওরেন্সসহ বিভিন্ন কাগজপত্র করতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করেও হয়রানির শিকার হচ্ছে। বাইপাসসহ জেলার প্রধান প্রধান সড়কের সংযোগ রাস্তাগুলোতে গতিয়ন্ত্রক না থাকার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

মেডিকেল কলেজ থেকে বিনেরপোতা পর্যন্ত বাইপাস সড়কের সঙ্গে মেডিকেল কলেজ মোড়, কুচপুকুর জামতলা পাঁচরাস্তা মোড়সহ কয়েকটি স্থানে ট্রাফিক ও আইল্যাণ্ড না থাকার ফলে গত কয়েক মাসে ১৭জন নারী পুরুষকে গাড়ির তলায় জীবন দিতে হয়েছে। ৫০ জনেরও বেশি মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ে পঙ্গুত্ব বরন করেছে। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। তাই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিআরটিএ, এলজিইডি, সড়ক বিভাগ ও প্রশাসনকে নতুন আইন কার্যকর করার জন্য সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা শহরতলীর কুচপুকুর বড়জামতলা পাঁচ রাস্তার মোড়ে বাবুলিয়া সেবা সংসদ আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, সরকার দলীয় সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারিদের যেভাবে কটাক্ষ করে মিডিয়াতে বক্তব্য রাখছেন তা বিআরটিএ এর নতুন আইন কার্যকর করার পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। এ বক্তব্য ঘাতক চালকদের উৎসাহিত করবে। অবিলম্বে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নতুন আইন কার্যকর করাসহ সকল ক্ষেত্রে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বাবুলিয়া সেবা সংসদের সভাপতি মোঃ কওছার আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, বাংলাদেশ আহলে হাদিস আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সামছুর রহমান, ডাঃ এসএম ইসরাইল হোসেন, সীমান্ত কলেজের শিক্ষক এফএম রজব আলী, বাবুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমেশ চন্দ্র ঘোষ, শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, কাশেমপুর ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মনিরুজ্জামান. নাজমুচ্ছাদাত পলাশ, জাতীয় সাংবাদিক ফোরামের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে সোবসংসদের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
মানববন্ধনে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে। তাদের হাতে “সাবধানে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরব বাড়ি, নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা- জীবনের নিরাপত্তা” লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড শোভা পায়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)