আশাশুনিতে মরিচ্চাপ রিভার ভিউ কেওড়া পার্ক উদ্বোধন
আশাশুনিতে মরিচ্চাপ রিভার ভিউ কেওড়া পার্ক ও শেখ রাসেল শিশু কর্নার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে মরিচ্চাপ ব্রিজের কাছে চরভরাটি জমিতে নির্মাণাধীন পার্কের শুভ উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, ডিসি পত্নী মিসেস লাভলী কামাল, ইএনও পত্নী মিসেস কানিজ মীর, আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, প্রভাষক ম মোনায়েম হোসেন, ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক, দীপঙ্কর কুমার সরকার দীপ, আঃ আলিম মোল্যা, আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সেক্রেটারি কামরুজ্জামান, জনকণ্ঠ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, ইউপি সদস্যবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মোস্তফা কামাল তার ভাষণে বলেন, আশাশুনিতে বড় বাজার নেই, বিনোদনকেন্দ্র ছিলনা। ছিল কেবল পানি আর পানি। মানুষ বিনোদনের সুযোগ না পেয়ে অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছিল। কেওড়া পার্কের বেষ্টনী দেখে আমার ভাল লেগেছিল, তাই ঢাকা থেকে আর্কেটিক্টস এনে পার্কের বড় ধরনের উন্নয়নে পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। সেই থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পার্কের কাজ চলছে। পার্ক ও শিশু কর্নারকে দর্শনীয় ও মনোরম ভাবে গড়ে তুলতে চাই। সাথে সাথে আশাশুনির হাটবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পরিবেশ রক্ষা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখে সাতক্ষীরাকে আধুনিক এবং গ্রীন সাতক্ষীরা ক্লিন সাতক্ষীরা হিসাবে গড়ে নজির স্থাপন করতে চাই। সবশেষে প্রধান অতিথি কেক কেটে পার্ক ও শিশু কর্নারের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে পার্কের অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ, বনের ভিতর দিয়ে নদীর পানির ভিতর পর্যন্ত পৌঁছে অনেকগুলো বসার জন্য চৌকি নির্মাণ, পার্কের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বসার ব্যবস্থা, পিকনিকের জন্য স্পেস, কেওড়া গাছের সুদৃশ্য বনায়ন ইত্যাদি কাজ করা হয়েছে। শেখ রাসেল শিশু কর্নারে বিনোদনের জন্য পাথর-কাঠ দিয়ে নির্মিত বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণির প্রতিকৃতি, বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলছে পার্কটিকে আরও উন্নত ও আকর্ষণীয় করার কার্যক্রম।