সোনা কেনার সময় যা খেয়াল রাখা খুব জরুরি
প্রয়োজনে বা শখের কারণেই সবাই সোনা কিনে থাকেন। বিশেষ করে বিয়ের আয়োজনে সোনা ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। তবে সোনা কেনা মোটেও অপচয় নয়। বিপদে-আপদে টাকার চেয়েও বেশি কাজে আসে এটি।
সোনা কেনার সময় কীভাবে বুঝবেন আপনি ঠকছেন কি-না? আর দিন দিন সোনার বেড়েই চলেছে। তাই ঠকতে না চাইলে টাকা খরচ করে সোনা কেনার আগে কিছু বিষয় জানা খুব জরুরি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো-
খাদ কেমন
সাধারণত ২৪ ক্যারেট সোনাই খাঁটি। ২৪ ক্যারেট মানে ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি। কিন্তু একেবারে খাঁটি সোনা দিয়ে গয়না হয় না, প্রয়োজন সামান্য খাদের। দোকানে সাধারণত ২২ ক্যারেট দিয়ে গয়ানা তৈরি হয়। ২২ ক্যারেট মানে ৯১.৬ শতাংশ খাঁটি সোনা। ২১ ক্যারেটে থাকে ৮৭ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে থাকে ৭৫ শতাংশ। তবে ২২ এবং ২১ ক্যারেট দিয়েই বেশি গয়না তৈরি হয়।
খাঁটি বোঝার উপায়
স্পেকট্রোমিটার দিয়ে মাপার পর সোনার খাদ থাকলে তা সহজেই ধরা পড়বে। যন্ত্রই বলে দেয় কত ক্যারেটের সোনা আপনাকে দেয়া হয়েছে। তাই স্পেকট্রোমিটার মেশিনে মেপে সোনার খাদ যাচাই করে তবেই কিনুন। সঙ্গে অবশ্যই দেখে নিন হলমার্ক। তাতে বিক্রির সময়ে খাদ বাদ যাবে না। কেবল মজুরিই বাদ যাবে।
তৈরির ওপর ছাড়
মেকিং চার্জের ওপর বাড়তি ছাড় দেখিয়ে আপনাকে প্রলোভনে ফেলে সোনা ব্যবসায়ীরা। তাই কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিন ছাড় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। কোনো হিডেন চার্জ আছে কি-না, তা-ও জেনে নিন।
দরদাম
প্রায় কাছাকাছি নকশার গয়না বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন দামের হতেই পারে। কারণ হিসেবে সোনার মান আর মেকিং চার্জের যুক্তি দেখান ব্যবসায়ীরা। তাই বেশকিছু দোকানে আগে খোঁজ নিয়ে তবেই কিনুন সোনার গয়না।
বিনিয়োগ
সোনা কেনা ‘ভালো ব্যবসা’ বটে। তবে সবটাই নির্ভর করে বাজারের ওঠা-নামার ওপর। তাই বিনিয়োগের উদ্দেশে সোনা কিনতে চাইলে অবশ্যই সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে কিনুন। মতামত নিন বিশেষজ্ঞদের।
মণি-মুক্তা
সোনার গয়নায় হিরা, রুবি, পান্না জাতীয় পাথরের কাজ থাকলে দেখতে ভালোই লাগে। সে ক্ষেত্রে দামও বেড়ে যায়। তবে পরে বিক্রি করতে গেলে মনের মতো দাম পাওয়া যায় না। তাই সোনার গয়নায় পাথর না থাকাই ভালো। সোনা কেনার সময় সোনার উপরেই বেশি জোর দিন। মূল্যবান পাথরের উপর নয়।