তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা; অভিযুক্ত ৪ জনকেই ক্রসফায়ার
ভারতের হায়দ্রাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত চারজনই ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে, পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোর সময় তাদের গুলি করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের অদূরে। অভিযুক্ত চারজনই পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ এবং এই ঘটনার দায় ভারও স্বীকার করে নিয়েছে তারা। নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ আরিফ, নবীন, শিব ও চেন্নাকসভুলু। খবর এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
হায়দারাবাদ পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে তদন্তের প্রয়োজনে ঘটনাস্থলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই চার অভিযুক্তকে। এ সময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে, তাদের গুলি করা হয়। বুধবার ওই চারজনকে পুলিশি হেফাজতে দেয়া হয়। হায়দারাবাদ পুলিশের শীর্ষ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে অভিযুক্তরা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
গত বুধবার রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথের শাদনগর নামক এলাকা দিয়ে স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী চিকিসৎক। মাঝ রাস্তায় স্কুটারের টায়ার ফেটে গেলে তিনি অভিযুক্ত ওই দুই ট্রাকচালকের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। পরে কৌশলে নিজেদের ফাঁদে ফেলে তরুণীকে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ওই তরুণীর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় টোল প্লাজায় প্রিয়াংকাকে স্কুটি নিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখে ছককষে অভিযুক্ত যুবকরা।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ধর্ষকদের জনতার হাতে তুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করে তেলেঙ্গানার হাজার হাজার মানুষ। শনিবার প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে শাদনগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন তারা।
সূএ : ডেইলি বাংলাদেশ