পাটকেলঘাটা শ্রমজীবী সমবায় সমিতির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
পাটকেলঘাটা শ্রমজীবী সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব শেখ রহমত আলীর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপীর দায়ে আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী রবিউল ইসলামসহ কয়েকজনে মিলে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও সমিতির নামে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার মানববন্ধনের প্রতিবাদে পাটকেলঘাটা পাঁচরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১০টায় পাটকেলঘাটা শ্রমজীবী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর আয়োজনে সমিতির কর্মকর্তা, কর্মচারী,উপকারভোগী গ্রাহকসহ শত শত সুবিধাভোগী নারী পুরুষ দলমত নির্বিশেষে মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা সমিতির বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন-এ সমিতি হতে ঋণ নিয়ে কৃষক, ক্ষেতমজুর, ঠিকাদার, ওয়েল্ডিং কারখানা, কুঠির শিল্পসহ ছোটবড় ব্যবসা বাণিজ্য করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। কিন্তু সমিতির উন্নয়ন দেখে জনৈক ঋণখেলাপী রবিউল ইসলাম নিজেকে বড়মাপের নেতা প্রমাণ করতে এবং ঋণের টাকা না দেয়ার জন্যে সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ রহমত আলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করেন। মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি তৃতীয় কোর্টে খারিজ হয়ে যায়।
এরপর সমিতি ঋণখেলাপি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা ২য় জজ আদালতে (পাট) ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআরপি ১১/১৬। মামলায় রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত চলতি বছরের গত ৭ জুলাই দীর্ঘ শুনানি শেষে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ২২ লক্ষ টাকা দণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। ৩ মাস সাজা ভোগ করে রবিউল ইসলাম বাড়ী এসে কোন উপায়ন্তু না পেয়ে পরোক্ষভাবে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এবং পাটকেলঘাটা শ্রমজীবী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিষয়বস্তু উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনসহ বিভিন্নভাবে সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।
এরই প্রেক্ষিতে উপকারভোগী ও সমিতির গ্রাহকরা বুধবার বেলা ১০টায় পাটকেলঘাটা পাঁচ রাস্তা মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানকারী রবিউলসহ তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনার দাবীতে পাটকেলঘাটা শ্রমজীবী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক,সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত কুমার ঘোষ, সদস্য রেজাউল ইসলাম, উপকারভোগী ঠিকাদার শেখ মঞ্জুরুল ইসলাম, অশোক লাহিড়ী, মহাদেব চক্রবর্তী, মহসিন আলী, শুভাষিনী অফিসের ব্যবস্থাপক অমল সেন,মাগুরা অফিসের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম ও অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য আতিয়ার রহমান বিশ্বাস প্রমুখ।