আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন:মোস্তাকিম সভাপতি ও শম্ভুজিৎ সাধারণ সম্পাদক
আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিমকে সভাপতি ও শম্ভুজিৎ মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয়। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় আশাশুনি এতিম ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চত্বরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আশাশুনি উপজেলা শাখার আয়োজনে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এ বি এম মোস্তাকিম। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি। সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন, জেলা আ’লীগ সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আ’লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি, সাবেক এমপি ইঞ্জিঃ শেখ মুজিবর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ বক্তা ছিলেন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ আাসদুজ্জামান বাবু। উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টুর স ালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্যা। এসময় মে উপস্থিত ছিলেন, জেলা, উপজেলা আওয়ীলীগ নেতৃবন্দসহ বিভিন্ন উপজেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে এবং জামাত বিএনপির নজিরবিহিন অরাজকতা ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ তৎপরতার বর্ণনা দিয়ে অতিথিবর্গ তাদের ভাষণে বলেন, দেশকে উন্নয়নের মহা সড়কে এগিয়ে নিতে আরও বলিষ্ট নেতৃত্ব গড়ে তুলে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। দলের ভিতরে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে কোন অপশক্তি ঢুকতে না পারে সেব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন ও তৎপর হতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পরও দেশ থেকে আ’লীগকে নিশ্চিহ্ন না করতে পারার জ¦ালা নিবারণ করতে, ২০০৪ সালে হাওয়া ভবনে বসে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপরও আ’লীগ টিকে আছে। সে সময় জিয়াউর রহমানের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আ’লীগকে সংগঠিত করা কঠিন ছিল। কিন্তু যাদের অকৃত্রিম ত্যাগের কারণে আজকে আমরা সুসংগঠিত হতে পেরেছি তাদের সাথে আমাদের দুস্তর পার্থক্য রয়েছে। আজকে গোটা জাতি উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, আ’লীগ মানে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না, যার কারণে বিশে^ বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। আমাদেরকে বুঝতে হবে শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা, বিশ^ নেতা। নেতৃবৃন্দ সকল বিভেদ ভুলে একতাবদ্ধতার সাথে ও দলীয় স্বার্থে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে অটল থেকে দলকে সমৃদ্ধ করতে আহবান জানান।
এরপর জেলা সভাপতি মুনসুর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলামের পরিচালনায় দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল হোসেন এবিএম মোস্তাকিমকে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও শম্ভুজিৎ মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। এবং দ্রুততার সাথে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আহবান জানান।